News Desk: কেরল সরকারের মুকুটে যোগ হল আরও এক নতুন পালক। কেরলের (keral) কোট্টায়ামের বাসিন্দা কুট্টিয়াম্মা। এই বৃদ্ধার বয়স ১০৪। কিন্তু বয়স কোনও বাধা হতে পারেনি ১০৪ বছরের কুট্টিয়াম্মার (kuttiamma) কাছে।
বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্প্রতি তিনি কেরল সরকার আয়োজিত রাজ্য সাক্ষরতা পরীক্ষায় বসেছিলেন। সেই পরীক্ষায় ১০০-র মধ্যে ৮৯ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। পরীক্ষায় কুট্টিয়াম্মার এই নম্বর প্রাপ্তি প্রমাণ করে দিচ্ছে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়, মনের ইচ্ছাটাই আসল।
কুট্টিয়াম্মার এই নজিরবিহীন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কেরল সরকারও। সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (education minister ) বাসুদেবন শিভানকুট্টি (basudaban shivsnkutti) ট্যুইট করে এই শতায়ু মহিলার সাফল্যের কথা সামনে এনেছেন।
মন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ১০৪ বছর বয়সে কুট্টিয়াম্মা রাজ্য সাক্ষরতা মিশনের পরীক্ষায় ৮৯ নম্বর পেয়েছেন। কুট্টিয়াম্মার এই সাফল্যই প্রমাণ করে, লেখাপড়া শেখার কোনও বয়স হয় না। কুট্টিয়াম্মা এই সাফল্যকে আমি অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে আর যাঁরা ভাল নম্বর পেয়েছেন বা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের সকলকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মন্ত্রী তাঁর ট্যুইটারে কুট্টিয়াম্মার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে সাক্ষরতার হার সবচেয়ে বেশি কেরলে। রাজ্যেরবাসীর এই সাক্ষরতার হার বরাবরই কেরলকে গৌরবান্বিত করেছে। তাই শতায়ু কুট্টিয়াম্মার এই সাফল্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই, বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যাতে স্বাক্ষর হতে পারেন তাঁরা যাতে নিয়মিত লেখাপড়া ও জ্ঞান চর্চা চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য কেরল সরকার একটি আলাদা দফতর গঠন করেছে। রাজ্য সাক্ষরতা মিশন অথরিটি নামে একটি বিভাগ এই কাজটি পরিচালনা করে। এই সাক্ষরতা মিশন অথরিটি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে থাকে।