News Desk: সদম্ভে খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছিল, অপারেশন ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে আরও একটা বদলা নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৬ সালের ১০ অগস্ট সকাল এগারোটার কিছু পরে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানিরা। প্রকাশ্যে পরপর গুলি করা হয়। লুটিয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল অরুণকুমার শ্রীধর বৈদ্য (General A S Vaidya)। কয়েকদিন পরেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। তার আগেই পুনে শহরে এভাবে তাঁর খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমেছিল আশঙ্কা।
‘অপারেশন ব্লু স্টার’ অভিযানের কারণে ধর্মীয় আবেগতাড়িত শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে জীবন খোয়াতে হয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তৎকালীন সেনপ্রধান অরুণকুমার শ্রীধর বৈদ্য ছিলেন স্বর্ণমন্দির অভিযানের মূল দায়িত্বে। তাঁকেও খুন করে উগ্র শিখ ধর্মীয় খালিস্তানি জঙ্গিরা।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) পরিচালিত সশস্ত্র খালিস্তান আন্দোলনের চক্রীরা শিখ ধর্মের প্রধান কেন্দ্র অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের দখল নিয়েছিল। ১৯৮৪ সালে সেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অপারেশন ব্লু স্টার অভিযানে খালিস্তানি জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়।
খালিস্তানিরা ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পরে দেশের রাজনীতিই গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এ এস বৈদ্য। তিনি আশঙ্কা করতেন হামলার। বলেছিলেন হয়ত একটা বুলেটে আমার নাম লেখা আছে!
মেয়াদ অন্তে অবসর নিয়ে পুনে শহরে থাকতে শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান। তাঁর গতিবিধি খুব নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখে হামলার নীল নকশা তৈরি করে খালিস্তানি জঙ্গিরা। ঘাতক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয় গুলি করার।
<
p style=”text-align: justify;”>পুনে শহরে ভিড়ের রাস্তায় প্রাক্তন সেনা প্রধানের গাড়ির খুব কাছে আসে তিন বাইক আরোহী। পরপর গুলি করা হয়। গুলি লেগে গাড়ির মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এ এস বৈদ্য। তাঁর স্ত্রী ও দেহরক্ষী গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত সেনাপ্রধানকে মিলিটারি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন, সব শেষ।