পুজো e-স্পেশাল: বঙ্গে পদ্ম ঘাটতি, দেবী অঞ্জলিতে করোনা হানা

তিমিরকান্তি পতি,বাঁকুড়া: পদ্ম (Lotus flower) ছাড়া দেবী দুর্গার আরাধনা? একেবারেই অসম্ভব। দেশ -বিদেশ সর্বত্রই মহাষ্টমীর দিন ১০৮ পদ্মফুল না হলে সম্পন্ন হবে না দেবী আরাধনা।…

Lotus flower, Bankurar, Durga Puja

তিমিরকান্তি পতি,বাঁকুড়া: পদ্ম (Lotus flower) ছাড়া দেবী দুর্গার আরাধনা? একেবারেই অসম্ভব। দেশ -বিদেশ সর্বত্রই মহাষ্টমীর দিন ১০৮ পদ্মফুল না হলে সম্পন্ন হবে না দেবী আরাধনা। ফলে ফি বছর শারদোৎসবের আগে সেই পদ্মের জোগানে  চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা। আর সেই সুযোগে এই সময়টাতে খানিক লক্ষ্মীলাভের আশায় বসে থাকেন লাল মাটির জেলার বাঁকুড়ার পদ্মচাষীরা।

চলতি করোনা আবহে সেই আশাতেই জল ঢেলেছে। কমছে পুজোর বাজেট, চাহিদা কমছে পদ্মেরও। শুধুমাত্র মহাষ্টমীর ১০৮ পদ্ম দিয়েই পুজো সারার কথা ভাবছেন পুজো উদ্যোক্তারা।

Lotus flower, Bankurar, Durga Puja

সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রামের মন্মথ মাহাতো, তারক মাহাতোর সঙ্গে পদ্মের সম্পর্ক প্রায় কয়েক দশকের। নিজের পুকুর ছাড়াও বেশ কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে তারা পদ্মের চাষও করে আসছেন বহু বছর ধরে। প্রতিবছরই লাভ-ক্ষতি নিয়ে কোনও রকমে উৎরে যেত সংসার। কিন্তু চলতি করোনা আবহে সব হিসেব ওলট পালট করে দিয়েছে। ফলে গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি বছরে সেই লিজে নেওয়া পদ্ম চাষের জন্য পুকুরও কমিয়ে দিয়েছেন।  

Lotus flower, Bankurar, Durga Puja

পদ্ম চাষী মন্মথ মাহাতো  বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবার তেমন পদ্মের চাহিদা নেই। মাত্র ৭০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১০ পয়সা প্রতি ফুলে দাম পাচ্ছি। তাঁর উৎপাদিত পদ্ম মূলতঃ মেদিনীপুর, কোলাঘাট, চাঁপাডাঙ্গা, তারকেশ্বর ও কলকাতার বাজারে যায়। তবে এবার কি অবস্থা হবে সব বিশ্বকর্মা পুজোর পর জানা যাবে বলে তিনি জানান।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন জনৈক পদ্ম ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ হালদার। তিনি বলেন, উদ্যান পালন দপ্তরের মাধ্যমে বিদেশে পদ্ম রপ্তানির কথা চলছে। আর তা যদি হয় তাহলে চাষীরা ভালো দাম পাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।