বিশেষ প্রতিবেদন: শহরে থিমের দুর্গার অভাব নেই। শিল্পীরা নানা আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলেন দেবী মূর্তিকে। মৃন্ময়ী মূর্তি হয়ে ওঠে চিন্ময়ী। কিন্তু এই যুবক আদতে কোনও মৃৎশিল্পী নয়। সে গায়ক এবং নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন মূর্তি বানায় সে।
তালিকায় রয়েছে কালী, সরস্বতী, লক্ষীও। তৈরী করেন দেবীর গয়না থেকে শুরু করে মুকুট। সব কিছু নিজের হাতে অনবদ্য দক্ষতায় গড়ে তোলেন যুবক। তেমনভাবেই তিনি বানিয়েছেন কাগজের দুর্গা। দেবী রয়েছেন একদম সপরিবারে। আগে মাটি,ফাইবার, সিমেন্ট বা কোনো ইস্পাত গলিয়ে নয় মূর্তি বানিয়েছেন হাওড়া জেলার বাসিন্দা দেবতনু। তাঁর তৈরি কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি দেখতে তাঁর বাড়িতে মাঝেই মাঝেই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। আসলে কাগজের মাতৃ প্রতিমা রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওড়ার ছেলে দেবতনু ঘোষ।
অভিজ্ঞ শিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষণ নেন নি যুবক। পেপার কাটিং তাঁর পছন্দের আর্ট। পাঁচ ছয় বছর বয়স থেকেই এই কাজ করে আসছেন তিনি। যেকোনো মূর্তি দেখে সে প্রথমে সেই ছবি এঁকে ফেলে কাগজের। এরপর পেপার কাটিং করে মূল স্ট্রাকচার তৈরি হয়। তারপর তৈরি হয় কাঠামো। তারপর নিজের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে করতেই তৈরি হয় দেবী মূর্তি। এভাবেই তৈরি।জও দুর্গার মূর্তি।
পরিবারের মধ্যে কারো সমর্থন বেশি কারো সমর্থন কম পেলেও দেবতনু তার মাকে পাশে পেয়েছে সব সময়ই।
তিনি জানিয়েছেন “ছোটবেলা থেকেই আমার কাগজের মূর্তি তৈরীর প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে ভবিষ্যতে আমি আরো নিখুঁত ভাবে কাগজের মূর্তি তৈরী করার চেষ্টা করব।”