Ramakrishna: রসগোল্লার রসে মজে সমাধিস্থ হয়েছিলেন শ্রীশ্রী ঠাকুর

বিশেষ প্রতিবেদন: রসগোল্লা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ নেই। রসগোল্লার প্রেম ডুব দিয়েছিলেন প্রেমের ঠাকুরও। কোন্নগরে হরিসভার বাৎসরিক উৎসবে ভক্ত-বর শ্রীযুক্ত নবাই চৈতন‍্য মহোদয়ের আমন্ত্রণে…

Ramkrishna-paramhans

বিশেষ প্রতিবেদন: রসগোল্লা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ নেই। রসগোল্লার প্রেম ডুব দিয়েছিলেন প্রেমের ঠাকুরও।

কোন্নগরে হরিসভার বাৎসরিক উৎসবে ভক্ত-বর শ্রীযুক্ত নবাই চৈতন‍্য মহোদয়ের আমন্ত্রণে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব যোগদান করেছিলেন। নাম-সংকীর্তনের পর, প্রসাদ সেবার সময় শ্রীশ্রীঠাকুর একটি রসগোল্লায় কামড় দেবার পর, সেই রসগোল্লার রস কন্ঠ মধ‍্যে ছিটকাইয়া পড়ে এবং তখন ঠাকুরের ভাব সমাধি অবস্থা লাভ হয়। সমাধি ভঙ্গের পর ঠাকুর কেন সমাধিস্থ হলেন একথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ” রসগোল্লা আস্বাদন করা মাত্রই ওই রসগোল্লার রসবিন্দু যখন আমার গলায় পড়ল তখনই ব্রহ্মানন্দ রসের আনন্দ অনুভব করলাম, তাই সমাধিস্থ হয়েছিলাম!”

এমই আরো একটি ঘটনার কথা শুনিয়েছেন শ্রদ্ধেয় রামচন্দ্র দত্ত তাঁর লেখা ঠাকুরের জীবনীতে। তিনি বলেছেন, “একদিন ঠাকুরের আবির্ভাব মহোৎসবের দিন, কোন একটি স্ত্রীলোক চারটি রসগোল্লা নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেকগুলি স্ত্রী ভক্ত উপস্থিত ছিলেন, তারা ঐ রসগোল্লা দেখে বললেন, বাছা, ঠাকুর এখন ভক্তের সঙ্গে মেতেছেন, মা এখন কেমন করে তাঁকে খাওয়াবেন? বিশেষত: তাঁর এখন ভোজন হয়ে গিয়েছে, এখন তো আর কিছু খাবেন না। খেলে অসুখ কোরবে! – একথা ভক্তের প্রাণে যে কি গুরুতর শেলবৎ বিদ্ধ হয়েছিল, তা ভক্ত ব্যতীত কেউ বুঝতে সক্ষম হবেন না। তাঁর চোখে জল এলো এবং মনে হলো “ঠাকুর তো অনাথের নাথ!তোমার ভক্তেরা বড়লোক তাঁরা অনেক অর্থ ব্যয় করে মহোৎসব করছে, তুমি আনন্দ করছ ঠাকুর! আমি দীনহীনা কাঙ্গালিনী। অনেক কষ্টে আমি চারটে পয়সা সংস্থান করেছি। কি করবো, আমার তো শক্তি নেই। আমি বুঝলাম তুমি কাঙালের ঠাকুর নও!” – যিনি তাঁকে ডাকতে জানেন, যিনি হৃদয়তন্ত্রী টানতে শিখিয়েছেন, যিনি তাঁর ডাক শুনেছেন, তার প্রত্যুত্তরে না দিয়ে কি কোন উপায় আছে!ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তৎক্ষণাৎ ভক্তের অন্তরের আহ্বানে এসে ওই মহিলার কাছ থেকে রসগোল্লা খেলেন। ~ রসগোল্লা দিবসে, ঠাকুরের আশীর্বাদে আপনারা সকলে রসেবসে থাকুন এই প্রর্থনা রইল।