বিশেষ প্রতিবেদন: রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (Rameshwar Banerjee) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একজন নাম নাজানা অগ্নিযুগের সশস্ত্র আন্দোলনকারী। তাঁর আন্দোলন ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তির দাবি জানিয়ে। শেষে পুলিসের গুলিতে তাকে শহীদ হতে হয়েছিল। রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ ই ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন ঢাকার বাগড়ায় ( বর্তমান বাংলাদেশে )।
রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এর পিতার নাম ছিল শৈলেন্দ্রমোহন বন্দোপাধ্যায়। রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এর সমন্ধে বিশেষ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয় নি। ১৯৪২ সালে যখন সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শ্লোগান। কেপে উঠেছিল সমগ্র দেশ, এই আন্দোলন ভারতের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়লো।
রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিলেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ১৯৪২ সালে। এর পর এলো ১৯৪৫ সাল, আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকরা ধরা পড়লেন। সকল দেশবাসী এর প্রতিবাদ করতে লাগলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হয়ে যুব ছাত্রসমাজ আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তির দাবিতে কলকাতায় একটি বিরাট শোভাযাত্রা বের করে।
দিনটি ছিল ২১ শে নভেম্বর ১৯৪৫ সাল, আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তির দাবিতে শোভাযাত্রায় রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় অংশগ্রহণ করেন। তখন ঠিক ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছে গেছে। আন্দোলনে লোকজন তীব্র হওয়ায় গুলি চালানোর নির্দেশ দেন পুলিশ। তখন পুলিশ দল গুলি চালাতে শুরু করেন। মনে হয় বন্দুক থেকে গুলি বৃষ্টি হচ্ছে।
এমন একটি সময় গুলি এসে লাগলো রামেশ্বর এর গায়ে, কলকাতার ধর্মতলা ষ্ট্রিটে রক্তাক্ত দেহে লুটিয়ে পড়লো ছাত্র রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মজদুর নওজোয়ান আবদুস সালাম। তারা শেষ নিশ্বাস টুকু সেখানেই ত্যাগ করলেন। আহত হন প্রায় ৫২ জন। রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এর মৃত্যুর পর কলকাতার রাস্তায় বিশাল মিছিল আয়োজন করা হয়। “দিল্লি চলো” ও “লাল কিল্লা তোর দো” স্লোগানের সাথে ধ্বনিত হয় “রামেশ্বর ব্যানার্জী জিন্দাবাদ”।