Kolkata: ভীম নাগের অনুরোধে লন্ডন থেকে এলো বাংলায় ডায়াল লেখা ঘড়ি

অফবিট ডেস্ক: বাঙালির নিজস্ব কিছু ট্রেডমার্ক রয়েছে, যার অন্যতম ‘মিষ্টি’। আর সেই মিষ্টির ক্ষেত্রে যে নামগুলো একদম শুরুতেই আসে, তাদের অন্যতম ভীম চন্দ্র নাগ। ১৮২৬…

অফবিট ডেস্ক: বাঙালির নিজস্ব কিছু ট্রেডমার্ক রয়েছে, যার অন্যতম ‘মিষ্টি’। আর সেই মিষ্টির ক্ষেত্রে যে নামগুলো একদম শুরুতেই আসে, তাদের অন্যতম ভীম চন্দ্র নাগ। ১৮২৬ সালে হুগলী জেলার জনাইয়ের বাসিন্দা প্রাণচন্দ্র নাগ কলকাতার (Kolkata) বউবাজারে একটি ছোটো মিষ্টির দোকান খোলেন। তাঁর পুত্র ভীমচন্দ্র নাগ পরবর্তী কালে দোকানের দায়িত্ব নেন। 

বউবাজারেরে ওই দোকানে মিষ্টি খেতে গেলে শুধু থরে থরে সাজানো মন কেমন করা মিষ্টিই নয়, চোখ পড়বে ঘড়ির ওপর। দেখা যাবে ইংরেজি নয়, গোটা ঘড়ির ডায়ালটাই লেখা বাংলা হরফে। ডায়ালের মতোই চমক রয়েছে ঘড়ির ইতিহাসেও। 

বউবাজারের বিখ্যাত ওই দোকানে মিষ্টি খেতে এসেছিলেন বিখ্যাত ঘড়ি কোম্পানি ‘কুক অ্যান্ড কেলভি’-র বড়সাহেব চার্লস কেলভি। ভীম চন্দ্র নাগের মিষ্টি খেয়ে একেবারে মোহিত হলেন তিনি৷ ভীম নাগের কাছে সাহেব জানতে চাইলেন, ‘এত ভাল মিষ্টি বানাও, এমন বড় দোকানে কোনও ঘড়ি নেই কেন?’ অপ্রস্তুত ভীম নাগ লজ্জিত হয়ে মাথা চুলকে বলেছিলেন “আজ্ঞে, ঘড়ি কেনা হয়ে ওঠেনি”৷

Kolkata

তা শুনে সাহেব জানিয়েছিলেন তিনি খুশি হয়ে এই দোকানে একটা দেওয়াল ঘড়ি উপহার দেবেন৷ কিন্তু দোকানের কর্মচারিরা কেউই তো ইংরেজি পড়তে পারে না। অথচ ঘড়ির ডায়ালই হয় হংরেজিতে। ভীম নাগ কেলভিকে জানান যে তাঁর কর্মচারিরা ইংরেজি পড়তে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে বাংলায় লেখা ঘড়ি দেওয়া হয় তাহলে কর্মচারিদের খুবই সুবিধা হয়৷  

মিষ্টি খেয়ে এতটাই প্রসন্ন ছিলেন সাহেব, যে জানিয়ে দেন সে ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। তাঁর দেওয়া কথামতোই লন্ডন থেকে বাংলা হরফে লেখা ডায়াল তৈরি হয়ে আসে৷ সাহেবি পেইন্টারের আড়ষ্ট হাতে লেখা হয়েছিল ওই বাংলায় ডায়াল৷ ঘড়ির মাঝখানে কুক অ্যান্ড কেলভি-র নামটাও বাংলাতেই লেখা, নীচে লেখা লন্ডন। যে শহরে শুরু হয়েছিল ‘কুক এন্ড কেলভি অব লন্ডন’, সে শহরেরঅই বিখ্যাত দোকানে শহরের নিজের ভাষায় লেখা ডায়ালের ঘড়ি শোভা পাচ্ছে এক শতকের বেশি সময় ধরে।