Special Correspondent: ফের বাড়ছে করোনা। শুরু হয়ে গিয়েছে নাইট কার্ফু, কন্টেইনমেন্ট জোন। সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রামেও। সমস্যা বড় হবার আগে আবারও মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল স্বপ্ন দেখার উজান গাং (Ujan gang)।
ওঁরা জানাচ্ছে করোনা সংক্রমণ কম থাকার সময়েও আমাদের অক্সিজেন পরিষেবা থেকে শুরু করে মাস্ক বেলানোর কাজ জারি ছিল। বাকি ছিল হেল্পলাইন খোলা। সেটা আবারও চালু করল তাঁরা। মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া কিমবা হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, বা করোনাকে আক্রান্তকে সাহস জোগানো— এভাবেই রাতদিন এক করে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’।
ইতিমধ্যেই ২৪ ঘন্টার হেল্পলাইন চালু করে বহু মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এবার তাদের এই লড়াইয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আমতার নবনির্বাচিত বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সুকান্ত বাবু সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিকে একটি মাস্ক ভেন্ডিং মেশিন তুলে দিলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি সূত্রে জানা গেছে, এই মেশিনটি উদং-ফতেপুর বাসস্ট্যান্ডে বসানো হবে। মেশিনে ৫ টাকা দিলেই মিলবে দু’টি সার্জিক্যাল মাস্ক। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময়ে দিনরাত লড়াই করে চালিয়ে গিয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যরা। গ্রামীণ হাওড়ার করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে তাদের পক্ষ থেকে চব্বিশ ঘণ্টার জন্য ৩ টি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছিল। দিনভর সেখানে ফোন করে কেউ আর্জি জানিয়েছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার কিমবা ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার, রক্তের ব্যবস্থা করার কেউবা সরকারি ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করানোর অনুরোধ করেছেন, আবার অসহায় হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছেন করোনা রোগী তার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ আসে। পাশাপাশি, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর কী করণীয় তার পরামর্শ বহু মানুষ হেল্পলাইনে ফোন করেছেন।
ফোন পেয়েই সৌভিক চৌধুরীর নেতৃত্বে তৎপরতা শুরু করে অরুণ, তাপস, প্রিয়াঙ্কারা। বেড়িয়ে আসছে সমাধানসূত্র। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় প্রসেনজিৎ, প্রিয়াঙ্কারা।
মধ্যরাতেও সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সংগঠনটির সদস্যরা। শুধু গ্রামীণ হাওড়াই নয় সদর হাওড়ার করোনা আক্রান্তদেরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের কর্তা পৃথ্বীশরাজ কুন্তী জানান, “সারাবছরই বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে আমরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মানুষ বড় অসহায়। তাই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।” তিনি আরও বলেন, “করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত মাইকিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে। “