Special Correspondent: আজ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। যদি এমন দিনে কোনও বোন ঋতুমতী হয়ে পড়েন তাহলে তাঁর ফোঁটা দেওয়া বারণ হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমন হবে? পরিবেশবিদ করেছেন প্রতিবাদ। তিনি বলছেন, ‘ভাই দ্বিতীয়ায় পিরিয়ড ! তাতে কী? ভাইয়ের কপালে ফোঁটা? হয়ে যাক’
তাঁর কথায়, “এখনও মেয়েদেরকে এই অশুচি করে দূরে সরিয়ে রাখা হয় বেশিরভাগ সংসারেই। শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখেছি, দাদারা বোনকে ডাকছে ফোঁটা দিতে;বোন এক ধারে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির বড়রা বলছেন,”ও এবছর ফোঁটা দেবে না।ওর অসুবিধা আছে।” এ বাড়িতে আমার মা বলতেন,”বচ্ছরকার দিনে একবার দাদারা আশা করে থাকে ওদের ফোঁটা দিতে হবেনা শুধু মিষ্টি ধরে দে।”সে আমার বড়দাদার হুলুস্থুল। “ফোঁটা না দিলে কিসের ভাইফোঁটা!”কে বোঝাবে তাকে!তখন দাদাদের কাছে আমরা অত খোলামেলাও নই। মা বোঝাতে চাইছেন এ বছর বোনকে ফোঁটা দিতে নেই। কেন নেই???? কেন নেই সে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন দাদার মনে!”
একইসঙ্গে তিনি বলছেন ,”ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করবে বোন সেখানেও তার দেহ #অশুচি! বোন তার অধিকার থেকে বঞ্চিত ! হ্যাঁ! শরীরের ঘাম বেরনোর মতো একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বোন সেই সময় ঋতুমতি।মূর্তি সংক্রান্ত যা নিয়মাদি তা নিয়ে না হয় অনেক মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমার নিজের দাদার মঙ্গল কামনা করব তাতে পিরিয়ড বাধা হবে কেন?যমুনাও তো মেয়েই নাকি! !!!