Sikkim: জ্যোতিবাবুর রেকর্ড ভাঙা চামলিংকে দিয়ে কূটচাল মমতার ? BJP চিন্তিত

News Desk: পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবেশি সিকিমের (Sikkim) রাজনীতিতে কোনওদিনই বঙ্গ প্রভাব পড়েনি। অথচ সিকিমের যোগসূত্র শিলিগুড়ির সঙ্গেই বেশি। দীর্ঘ বাম আমলে রাজ্যের লাগোয়া সিকিমের একটাও গ্রাম…

Tmc trying to reach sikkim's assembly as opposition party

News Desk: পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবেশি সিকিমের (Sikkim) রাজনীতিতে কোনওদিনই বঙ্গ প্রভাব পড়েনি। অথচ সিকিমের যোগসূত্র শিলিগুড়ির সঙ্গেই বেশি। দীর্ঘ বাম আমলে রাজ্যের লাগোয়া সিকিমের একটাও গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম ছিল না।

বঙ্গ বামেদের দাপটের সেই চৌত্রিশ বছরের জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবু মু়খ্যমন্ত্রী। আর সিকিমে ছিলেন নরবাহাদুর ভাণ্ডারি ও পবন কুমার চামলিং। সিকিম সংগ্রাম পরিষদের নরবাহাদুর থেকে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছিল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চামলিংয়ের হাতে।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক তো বটেই, রাজ্যটির যে কোনও পাহাড়ি শহরে বাঙালিদের দেখা পাওয়া কোনও ব্যাপারই না। বাংলা শোনা যায় কান পাতলেই। তেমনই রাজ্যে এবার নজর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

পড়ুন: Manipur: বিরোধী আসন দখলে মমতার অভিযান, কংগ্রেস কাঁপছে মনিপুরে

সূত্রের খবর, সিকিমে জোড়াফুলের পতাকা তুলতে ক্ষমতা হারানো চামলিংকে বেছে নিয়েছেন মমতা। অচিরেই দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে টিএমসি চাইছে ‘ঘটিহারা’ চামলিংকে তাদের দলে টেনে আনতে।

সিকিমের সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে নীরবে পরিবর্তন হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে টানা সাড়ে ২৪ বছর (২৪.৪ বছর) একটানা ক্ষমতায় থাকা চামলিং সরকারের পতন হয় ২০১৯ সালে। ক্ষমতা হারানোর ঠিক আগে চামলিং একটি নজির গড়েন। তিনি দেশের সর্বাধিক সময়ে কুর্সিতে থাকা মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ২৩ বছর টানা কুর্সিতে থেকে দ্বিতীয় স্থানে প্রয়াত জ্যোতি বসু।

জ্যোতিবাবু যখন পশ্চিমবঙ্গের শাসনে তখনই সিকিমের মধ্যগগনে চামলিং। দুই রাজ্যের দুই শক্তিশালী মু়খ্যমন্ত্রী পারস্পরিক সৌহার্দ্য ছিল। তেমনই সৌহার্দ্য চামলিং ও মমতার মধ্যে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।

আরও পড়ুন: Meghalaya: মেঘের দেশে ‘কংগ্রেসের শেষের কবিতা’ লিখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা

গত বিধানসভা ভোটে সিকিমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল এসডিএফ তথা চামলিং সরকার। নতুন দল হিসেবে ক্ষমতায় আসে সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রেমসিং তামাং।

সিকিমের এই ক্রান্তিলগ্নে বিজেপি ছিল না ভোট যুদ্ধে। বিধানসভার ভোটে না থেকেও আচমকা চামলিং শিবিরে ‘অপারেশন লোটাস’ ধাক্কায় কোণঠাসা হয়ে যান চামলিং। ভোট না লড়েও বিজেপি ঢোকে বিধানসভায়! আপাতত চামলিং একমাত্র এসডিএফ নেতা। তাঁর পুরো দলকেই ভাঙিয়ে নিয়েছে বিজেপি।

সূত্রের খবর, যেভাবে বিনা ভোটযুদ্ধে সিকিমের রাজনীতিতে ঢুকেছে বিজেপি, একই কায়দায় টিএমসি চেষ্টা শুরু করেছে। বিশেষ সূত্রে kolkata24x7.in জানতে পেরেছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চামলিংকে দিয়েই বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধায়কদের টেনে আনতে পরিকল্পনা শুরু করেছে টিএমসির ভোটকুশলীরা।

এক নজরে সিকিম বিধানসভার অংক
মোট আসন ৩২
সরকারপক্ষে আছে ৩১ জন
সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা ১৯
বিজেপি ১২

বিরোধী পক্ষ
সিকিম ডেমোক্রেটিক পার্টি ১

তবে হামরো সিকিম নেতা প্রাক্তন টিএমসি ও ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়ার ভূমিকা নিয়েও বিশেষ ভাবনা রয়েছে মমতার। বাইচুংকে ঘোড়া করেও ২০১৪ সালের দার্জিলিং লোকসভা ও ২০১৬ সালে শিলিগুড়ির বিধানসভাতে সফলতা পাননি মমতা। টিএমসি ছেড়ে সিকিম গিয়ে নতুন দল গড়েছেন বাইচুং।

২০২১ বিধানসভা ভোটে বাইচুং সরাসরি সিপিআইএমের অশোক ভট্টাচার্যের হয়ে সমর্থনে মিছিল করেন। শিলিগুড়িতে সিপিআইএম হেরে যায়। বাইচুং কি মমতার জন্য অনুকূল, ভাবছে টিএমসির ভোটকুশলীরা। সেক্ষেত্রে চামলিং পাচ্ছেন বেশি গুরুত্ব।