T20 World Cup: মার্কাস স্টয়নিস এবং ম্যাথু ওয়েড জুটিতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে

Sports desk: দুবাই আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ ওভারে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে।…

Australia

Sports desk: দুবাই আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ ওভারে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই পাক বোলার সাহিন আফ্রিদির ডেলিভারিতে বেসামাল হয়ে পড়ে, অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ রানের খাতা না খুলেই এলবিডব্লু’র শিকার হয় সাহিনের দুরন্ত ডেলিভারিতে। অস্ট্রেলিয়া ০.৩ ওভারে ১ উইকেট খুঁইয়ে ১ রানের মাথায় সোজা খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে। সাহিনের ওই একটা ডেলিভারি, অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারিয়ে ফেলা অজি টিমের শিরদাঁড়ায় গোড়াতেই আঘাত করে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুরন্ত লড়াই অস্ট্রেলিয়ার। শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টয়নিস ৪০ এবং ম্যাথু ওয়েড ৪১ নট আউট জুটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ ওভারে ১৭৭ রান তুলে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে যায়। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এদিন পাকিস্তানের ডানহাতি লেগব্রেক বোলার সাহাদাব খান বল হাতে এককথায় অনবদ্য সঙ্গে অজি শিবিরের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠেন। মিচেল মার্শ যখন ২৮ রানে ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারকে জুটি করে, ঠিক তখনই সাহাদাব খান মিচেল মার্শের উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু দেয়।

এরপর সাহাদাবের শিকার স্টিভ স্মিথ। মাত্র ৫ রান করে স্মিথ প্যাভিলিয়ন ফিরে আসে। অস্ট্রেলিয়া ৮.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে।

ধারাবাহিক ভাবে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়তে থাকলেও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার উইকেটের একদিক ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু প্রতিকূল স্রোতে কতক্ষণ সাঁতার কাটা যায়! ব্যক্তিগত ৪৯ রানে সাহাদাব খানের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন। অস্ট্রেলিয়া ১০.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৯ রান তুলেছে তখন।

মাত্র সাত রানের ব্যক্তিগত স্কোরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সাহাদাব খানের শিকার হয়,হারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে।১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ১০৩ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কাস স্টয়নিস ক্রিজে আসেন, ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মারণ কামড় দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। অস্ট্রেলিয়া ১৪৯ রান ৫ উইকেট হারিয়ে। জয়ের জন্য ১৫ বলে ২৮ রান দরকার। এই দুই জুটি ক্রমেই ক্রিজে জমে যেতে শুরু করে। অন্যদিকে বাবর আজমের পাকিস্তান উইকেটের জন্যে হন্যে হয়ে ওঠে। ১৮ ওভার শেষে মার্কাস স্টয়নিস ২৯ বলে ৪০ এবং ম্যাথু ওয়েড ১৩ বলে ২১ রানে ক্রিজে। অস্ট্রেলিয়া ১৫৫ রান, ৫ উইকেটের বিনিময়।

৯ বলে ১৮ রান দরকার অস্ট্রেলিয়ার। ক্রিজেমার্কাস স্টয়নিস এবং ম্যাথু ওয়েড। পাক অধিনায়ক বাবর আজম সাহিন আফ্রিদির হাতে বল তুলে দেয়, ব্রেক থ্রু পাওয়ার আশায়, ১৮.৪ ওভার সাহিনের হাতে বল।
৭ বলে ৬ রান দরকার অজিদের জেতার জন্য।মার্কাস স্টয়নিস ৪০ এবং ম্যাথু ওয়েড ৪১ রানে ক্রিজে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টয়নিস এবং ম্যাথু ওয়েড জুটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ ওভারে ১৭৭ রান তুলে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাহাদাব খান ৪, সাহিন আফ্রিদি একটি উইকেট নিয়েছে।