Sports desk: চলতি আইএসএলের মহাডার্বি ম্যাচ নভেম্বরের ২৭ তারিখ। টুর্নামেন্টের অষ্টম সংস্করণে নিজেদের প্রথম এনকাউন্টারে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলে ড্র করলো জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। ম্যাচ ড্র’র কারণে তিন পয়েন্টের বদলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল দুই দল।
রবিবার তিলক ময়দানে এক্কেবারে নতুন সেটআপ নিয়ে নামা এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ শুরুর দিকে আগোছালো ছিল। ১৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান স্টপার ফ্রানিও পর্চের ব্যাকভলিতে করা গোলে লাল হলুদ শিবির ১-০ গোলের লিড নেয়। রেহনিশের হাত-ফেরৎ বলে গোলের সামনে বাঁদিক থেকে ব্যাকপাস করেন পেরোসেভিচ। সেই ঠিকানা লেখা পাস থেকে গোল করেন স্টপার ফ্রানিও পর্চে।
গোল দেওয়ার পরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে একটা নতুন উদ্যম ধরা পড়ে, লিড বাড়ানোর তাগিদ দেখা যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘মেন অফ স্টিল’ জামশেদপুর এফসির ‘আনমার্কড’ ফুটবলার তথা অধিনায়ক পিটার হার্টলে তাঁর দলকে ১-১ গোলের সমতা এনে দেয়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মাথা ছুঁইয়ে গোলের সামনে বাঁ দিকে হার্টলেকে দেন নেরিয়ুস ভাল্সকিস। অরক্ষিত হার্টলের বুকে লেগে বল ঢুকে যায় লাল হলুদের জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও কোনও দলই গোলের লকগেট খুলতে পারেনি। তিলক ময়দানে হতাশ করলেন ড্যানিয়েল চিমা, কিন্তু আন্তোনিও পেরোসেভিচের পারফরম্যান্সে আশার আলো ফুটেছে লাল হলুদ সমর্থকদের। প্রথম ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট লাল-হলুদের। এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজের সমস্ত ফোকাসড এখন শনিবাসরীয় ডার্বি ম্যাচ ঘিরে।
অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগান ৪-২ গোলে কেরলা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট ঘরে তুলেছে। জয়ের আনন্দ থাকলেও কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস তিরি’র হাঁটুর চোট নিয়ে দুশ্চিন্তায়। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ডার্বিতে তিরি’র সার্ভিস পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় প্রহর গুনতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানের হেডস্যার হাবাসকে।