Sports desk: এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) হয়ে চলতি আইএসএলের (ISL) মরসুমে গোলকিপার শঙ্কর রায় প্রথমবারের জন্য বারের নীচে দাঁড়ালেন,এরই সঙ্গে আপফ্রন্টে সেমবোই হাওকিপের সঙ্গে জুটি বেধে ড্যানিয়েল চিমা চুকুউও’কে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে গেমপ্ল্যানের অংশ করেন হোসে মানুয়েল দিয়াজ। শুরুর একাদশে ফিরেছেন লালরিনলিয়ানা হানামতে।
অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রথম একাদশে তিন পরিবর্তন এদিনের ম্যাচে লাল হলুদ শিবিরের বিপক্ষে; গোলকিপিং’এ প্রভসুখান গিল এবং প্রসাহ্ন কে, এবং সন্দীপ সিং।
ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসসি ইস্টবেঙ্গল গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোলের লিড নিতে পারেনি। ৮৯ মিনিটে লাল হলুদ শিবিরের কাছে গোলের সুবর্ণ সুযোগ! ডেরভিসেভিচের থ্রু বল পেরোসেভিচকে গোলরক্ষক গিলের সাথে একের বিরুদ্ধে এক পজিশনে বক্সের ভিতরে,
কিন্তু গিল বক্সের মধ্যে এসে কেরালা ব্লাস্টার্সকে বিপদ থেকে দূরে রাখে। ম্যাচের ফুলটাইম স্কোরলাইন SCEB 1-1 KBFC।
রবিবার খেলার প্রথমার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-১ কেরালা ব্লাসার্স ড্র রেখে মাঠ ছাড়ে। ফাস্ট হাফে অফসাইডের কারণে লাল হলুদের গোল বাতিল, ফলে কিছুটা হলেও টেনশন ছড়িয়ে পড়ে মাঠে। তর্ক বিতর্কতে ক্ষণিকের জন্য রেফারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ফুটবলারেরা। এরপরেই ৩৭ মিনিটে গোলের লিড নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক টমিস্লাভ মির্সেলার হেডারের গোলে, রাজু গায়কওয়াডের ছোড়া লম্বা থ্রু বল থেকে। তবে গোলের লিড ৬ মিনিট ধরে রেখেছিল দিয়াজের ছেলেরা।
৪৪ মিনিটে, আলভারো ভাজকুয়েজের গোলে সমতায় ফিরে আসে কেরালা ব্লাসার্স। এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি, লাল হলুদ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোল দেওয়ার আগে ব্যাক টু ব্যাক দুটি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। হাড্ডাহাড্ডি বল দখলের লড়াইতে দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের ফাস্ট হাফে,কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
বাঙালি গোলকিপার শঙ্কর রায় লাল হলুদের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিন কাঠির নীচে দাঁড়িয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলারদের শটের বিরুদ্ধ স্রোতের লাইনে এসে দুরন্ত পারফরম্যান্সের ছাপ রাখে প্রথমার্ধের নিরিখে।সেম্বোই হাওকিপ কড়া ট্যাকলের জন্য হলুদ কার্ড দেখে। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আন্তোনিও পেরোসেভিচের শটে দুর্দান্ত সেভ করেন গোলকিপার প্রভসুখান গিল কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে। কোন অ্যাক্সেস দেয়নি গিল পেরোসেভিচের শটকে।
দ্বিতীয়ার্ধে, খেলা শুর হয়। ৬০ মিনিট কেটে গেলেও গোলের লকগেট কোন দলই খুলতে পারেনি, একটা ঝিমিয়ে পড়া ফুটবল ম্যাচ প্রদর্শন চলছে দুই দলের মধ্যে। এই গাছাড়া মনোভাব দুই দলের কাছেই অ্যালার্মিং ছিল।
ঠিক এই সময়ে টুইস্ট ম্যাচের ৬৫ মিনিটে, লালরিনলিয়ানা একটি স্লাইডিং চ্যালেঞ্জ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। ঝিমিয়ে পড়া ম্যাচ জেগে ওঠে।৭০ মিনিটে ম্যাচে টানটান উত্তেজনা! দুরন্তভাবে রুক্ষণ সামলাতে দেখা যায় টমিস্লাভ মির্সেলাকে,পুইটিয়া-
আলভারো ভাজকুয়েজের যুগলবন্দী বিপদ ঘন্টা বাজিয়ে দেয় রেড এন্ড গোল্ড বক্সে,কিন্তু মির্সেলা সতর্ক থাকায় বিপদ ক্লিয়ার করে দেয়। স্কোরলাইন এখনও SCEB 1-1 KBFC।
৬৮ মিনিটে দিয়াজের তিন পরিবর্তন। চিমা চুকুউ, লালরিনলিয়ানা এবং অমরজিৎ সিং কিয়ামের বদলি আঙ্গুসানা, বিকাশ জাইরু এবং আমির ডারভিসেভিক মাঠে নামে। ৮১ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পাল্টা বল পায়ে আক্রমণ। আন্তোনিও পেরোসেভিচের দুর্বল শট গিল ঠেকিয়ে দেয় অনায়াসে।
৮৬ মিনিটে হঠাৎ করেই ইন্দ্রপতনে হৃৎপিন্ডে একটা ঝাঁকুনি! কেরালা ব্লাস্টার্সের আদ্রিয়ান লুনার ক্রসে সাবস্টিটিউট হোর্হে ডিয়াজ হেড করেন, কিন্তু বল এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে ঢুকে যাওয়ার আগেই রেফারি ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়ে দেয়।
চলতি আইএসএলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যে নেমে ষষ্ঠ ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলে ড্র করলো কেরালা ব্লাসার্সের বিপক্ষে। আর লাল হলুদ সমর্থকদের বুক ফাঁটা কান্নার আওয়াজ প্রিয় দলের জন্য আরও চওড়া হয়ে উঠলো।