নিউজ ডেস্ক: ‘শুধু আসা আর যাওয়া…’। এই যাতায়াতের মাঝে একটি মন্ত্র গুঞ্জরিত বিরোধী দল বিজেপি (BJP) শিবিরে-‘আমি দিদির সেবক’। যাঁরা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছিল তারাই এখন মমতা (Mamata Banerjee) শিবিরে যেতে মরিয়া। বিজেপি রাজ্য দফতরের হিসেবে দুর্গা পূজার দশমীর পরেই বিসর্জনের বাজনা বাজতে চলেছে। সূত্রের খবর, এক ডজন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যাচ্ছেন।
Read More: কয়লাকাণ্ডে ইডির জেরা শেষে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক
উপনির্বাচনের ফলাফল সরকারপক্ষে যাচ্ছে তাতে নিশ্চিত বিরোধী দল বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আরও নিশ্চিত খবর, বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরির পক্ষত্যাগ। তিনি তৃণমূলে যাচ্ছেন-এমনই বার্তা এসেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। চন্দনা বাউরি সম্প্রতি বিতর্কিত ব্যক্তিগত বিষয়ে জড়িয়ে রাজ্যে নতুন করে আলোচিত। ভোটের আগে তাঁর নিম্নবিত্ত আটপৌরে জীবন ছিল তীব্র আলোচিত।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ বিজেপি চন্দনা বিসর্জনের দিন গুনছে। তেমনই ক্যালকুলেশন চলছে আর কে কে যাচ্ছেন তৃণমূল শিবিরে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে বিরাট ধ্বস নামছে বিজেপিতে। পাল্লা দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ।
বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে বিজেপি রাজ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে। প্রথমবার রাজ্যে এতবড় সফলতা ও বিরোধী দলের তকমা নিয়ে বিধানসভা ভবনে যাওয়ার পরেই আচমকা মুকুল রায়ের পক্ষত্যাগ আর তার পরেই শুরু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান পালা। প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, যেভাবে ভোটের আগে হুড়মুড়িয়ে এসেছিল সবাই এখন বিসর্জন বাদ্যিতে যাওয়ার অপেক্ষা।
আপাতত বিজেপি বিধায়ক ৭১ জন। দুর্গা পুজোর পর ৫০ এর নিচেও চলে যাবে দলের শক্তি। পরিস্থিতি ঘোরতর। মুরলীধর সেন লেনের পক্ষে কাউকে আটকানোর ক্ষমতা নেই। কারণ জয়ী বিধায়কদের কেউ বিজেপি নন, ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টির সুযোগসন্ধানী।