Bangladesh: লঞ্চের আগুনে ভয়াবহ পরিস্থিতি, বহু নিখোঁজ, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

News Desk: সরকারি পরিসংখ্যানে শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪০জন। তবে বেসরকারি হিসেবে নিহত যাত্রী কমপক্ষে ৫০ বা তারও বেশি। বহু যাত্রীর খোঁজ নেই। আশঙ্কা…

News Desk: সরকারি পরিসংখ্যানে শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪০জন। তবে বেসরকারি হিসেবে নিহত যাত্রী কমপক্ষে ৫০ বা তারও বেশি। বহু যাত্রীর খোঁজ নেই। আশঙ্কা লঞ্চে আগুন দেখে যারা নদীতে ঝাঁপ মেরেছিলেন তাদের বেশ কয়েকজন ডুবে গিয়েছেন।সবমিলে বড়দিনের ঠিক আগে মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনা বাংলাদেশ স্তম্ভিত। আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়েছে আলোড়ন।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের জেরে বাংলাদেশ নৌ পরিবহণ মন্ত্রক চরম বিতর্কে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অভিযোগ, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও দেশের নৌ পথ পরিবহণ ব্যবস্থা যে কত খারাপ তার উদাহরণ এই দুর্ঘটনা।

দুর্ঘটনার পর শোক জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিহত ও আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, সরকার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

দুর্ঘটনাস্থল জুড়ে হাজার হাজার মানুষের কান্না। বরিশাল বিভাগের দপদপিয়ার কাছে সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান থেকে সারি সারি মৃতদেহ বের করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার চলছে বরিশালের শের ই বাংলা হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ইঞ্জিনরুমের পাশে ক্যান্টিন। সেই ক্যান্টিনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে আগুন ধরে যায় ১৩ ব্যারেল ডিজেলে। যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

জ্বলতে থাকা লঞ্চটি রাতেই ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে কিছু যাত্রী লাফিয়ে নামতে পারেন। অনেকে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন লোকের মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।