নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে তালিবান জঙ্গি বার্তা। করোনাভাইরাসের গতিতে ছড়িয়ে পড়া এই বার্তায় সরাসরি আফগানিস্তানে যাওয়ার আহ্বান বিশ্লেষণ করে চমকে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ দমন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ কাউন্টার টেরেরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার বিভাগ খতিয়ে দেখছে তালিবানি বার্তা। আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশ ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলি সিক্রেট গ্রুপ থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ‘মুজাহিদ ভাই, চলেন আফগান যাই’ বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপে এই বার্তা ছড়ানোর ফলে চিন্তিত বাংলাদেশ সরকার।
এই ধরণের আহ্বানে এক শ্রেণীর উগ্র ধর্মান্ধ যুবক যুবতী আকৃষ্ট হবেই। তাদের মাধ্যমে জঙ্গি জাল ছড়ানোর চেষ্টা করবে উগ্র সংগঠনগুলি। এমনই আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন বিভাগ।
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তানে ফের তালিবান উত্থানে খুশি হয়ে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। জঙ্গি সংগঠন ও জঙ্গিদের অনলাইন ও অফলাইনে সাংগঠনিক গ্রুপগুলো এখন আফগান প্রসঙ্গই বেশি করে।
ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান ক্যাফে হামলায় জড়িত ছিল ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সংগঠনের সহযোগী নব্য জেএমবি। ভয়াবহ সেই ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের একটার পর একটা জঙ্গি ডেরা ধংস অভিযান চলে। সম্প্রতি তিনটি জঙ্গি ডেরা ধংস করা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, অনলাইনে বোমা হামলা ও বানানোর বিষয়ে জোর দিয়েছে জেএমবি ও নব্য জেএমবি।
আফগানিস্তানে কি ফের তালিবান শাসন কায়েম হবে? আফগান সেনা ও তালিবানদের মধ্যে সংঘর্ষ জারি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পুরোপুরি আফগানিস্তান ত্যাগ করলে সরকার পতন হওয়ার প্রবল আশঙ্কায় বহু আফগানি দেশত্যাগ করছেন।
আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি ও ফের তালিবান তৎপরতার কারণে উল্লসিত বিভিন্ন দেশের জঙ্গিরা। আর বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি সাম্প্রতিক আনলাইন প্রচারে অংশ নিচ্ছে বেশি।
গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন আফগানিস্তান যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ ভেসে আসছে। আবার কেউ কেউ আফগানিস্তানে তালিবান এলাকার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে প্রশংসায় পঞ্চমু়খ।