News Desk: মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দের আর্জি পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বরাদ্দ হলে নিশ্চিন্ত কিন্তু না হলে ? বিরাট আর্থিক বোঝা মাথায় নিয়েই অতি আলোচিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রকল্প কী করে চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেটাই প্রশ্নের মুখে।
সূত্র বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কৌলীন্য ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মরিয়া হয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের যে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে তাতে রাজ্য সরকারের কোষাগারে টান ধরেছে। বিভিন্ন খাতের টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ঢুকিয়েও হিমশিম অবস্থা। আর কাটছাঁট হওয়া খাতের অবস্থা সঙ্গীন। রীতিমতো অপেশাদারি মনোভাবে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিযোগ আর্থিক বিশেষজ্ঞদের।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্ত প্রকল্প চালাতে ঋণ নেওয়া ছাড়া গতি নেই মুখ্যমন্ত্রীর। অভিযোগ, ঋণ করে মান বজায় রাখতে গিয়ে রাজ্যকে বিপুল আর্থিক বোঝার সামনে দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থ বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডার চালাতে যে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে একমাত্র ঋণ থেকেই তার সংস্থান হতে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে,এখনো পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ১.৬৩ কোটি উপভোক্তারা আবেদন করেছেন। অনুমোদিত হয়েছে ১.৫২ কোটি আবেদনপত্র। মাসে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। সমগ্র আর্থিক বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে রাজ্যের।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী এবং লক্ষীর ভান্ডার দুটি প্রকল্প মিলিয়ে বছরে খরচ হতে পারে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার মতো। এই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তবে মু়খ্যমন্ত্রী চাইছেন যে করেই হোক চালাতে হবে দুটি প্রকল্প। এর জন্য গত আর্থিক বছরের তুলনায় বর্তমান আর্থিক বছরে বাজার থেকে অতিরিক্ত ১৭,৬০৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
এই আর্থিক বোঝা কতদিন নিতে পারবে সরকার? পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক হলেই উঠছে প্রশ্ন। কারণ সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশনের জন্য যে খাত রয়েছে সেটি নিরাপদ খাকলেও, অন্যান্য পরিকাঠামোগত খাতের টাকা নিয়ে প্রকল্প চালালে রাজ্যের সার্বিক পরিকাঠামোতেই ধাক্কা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।