🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

FD, মিউচুয়াল ফান্ড না ETF? দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে কোনটি সেরা? জানুন বিস্তারিত

By Kolkata24x7 Desk | Published: April 18, 2025, 11:25 am
Ad Slot Below Image (728x90)

বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করব? ফিক্সড ডিপোজিট (FD), মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund SIP) না কি এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF)? ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই তিনটি বিকল্পই বেশ জনপ্রিয়। তবে কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত, সেটা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য, সময়কাল এবং ঝুঁকির প্রতি মানসিকতার ওপর।

জরুরি তহবিল ও স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের জন্য—FD

ফিক্সড ডিপোজিট একটি প্রচলিত ও নিরাপদ বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট হারে সুদে টাকা জমা রাখা হয়। এটি মূলধনের নিরাপত্তা, নিশ্চিত রিটার্ন এবং সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য পরিচিত। যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁদের জন্য FD একটি আদর্শ বিকল্প।

তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে—এফডির সুদে পুরোপুরি কর প্রযোজ্য, আর মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তুলতে চাইলে জরিমানা দিতে হতে পারে। সব থেকে বড় কথা, এফডির রিটার্ন প্রায়শই মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে পারে না।

দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য—মিউচুয়াল ফান্ড SIP

মিউচুয়াল ফান্ডে SIP (Systematic Investment Plan) হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে নিয়মিত ছোট ছোট অংকের টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এটি সময়ের সাথে সাথে চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ কম্পাউন্ডিংয়ের জোরে আপনার বিনিয়োগ বড় হয়।

SIP-এর বড় সুবিধা হলো এটি ডিসিপ্লিন ইনভেস্টিংকে উৎসাহ দেয়, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি ছড়িয়ে দেয় এবং পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়। তাছাড়া, SIP পদ্ধতিতে আপনি রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং সুবিধাও পান, যেখানে বাজার ওঠানামা করলেও গড় খরচ তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

তবে, মিউচুয়াল ফান্ড বাজার-ভিত্তিক, ফলে এখানে ঝুঁকি থাকবেই। ফলাফল পেতে ধৈর্য ধরতে হয়। তাছাড়া, কিছু ফান্ডে এক্সপেন্স রেশিও ও এক্সিট লোড লাগতে পারে।

সস্তা ও প্যাসিভ বিনিয়োগের জন্য—ETF

এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF) একটি ইন্ডেক্স-ভিত্তিক বিনিয়োগ যেটি স্টক মার্কেটে ট্রেড করে। এগুলো সাধারণত নিফটি ৫০ বা সেনসেক্সের মতো ইন্ডেক্সকে অনুসরণ করে। ETF-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো—এর খরচ কম, ট্রান্সপারেন্ট, এবং সহজে কেনাবেচা করা যায়।

ETF-এ বিনিয়োগ করতে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয় এবং কিছুটা মার্কেট জ্ঞান থাকা ভালো। সরাসরি SIP করা যায় না, তবে কিছু ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম থেকে তা সম্ভব। একটি বড় কথা হলো, বুলিশ মার্কেটে ETF সবসময় অ্যাক্টিভ ফান্ডকে হারাতে পারে না।

তুলনামূলক বিশ্লেষণ

1. ঝুঁকি (Risk):

  • FD (ফিক্সড ডিপোজিট): ঝুঁকি প্রায় নেই। খুবই নিরাপদ বিনিয়োগ।
  • মিউচুয়াল ফান্ড (SIP): মাঝারি ঝুঁকি, কারণ বাজারের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে।

ETF: মাঝারি ঝুঁকি, কারণ এটি স্টক মার্কেটে ট্রেড করে এবং ইন্ডেক্স অনুসরণ করে।

2. রিটার্ন (Return – দীর্ঘমেয়াদি):

FD: গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ রিটার্ন।

মিউচুয়াল ফান্ড (SIP): ইকুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রিটার্ন সম্ভাব্য।

ETF: ইন্ডেক্স অনুসরণ করার কারণে গড়ে ৯ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়।

3. লিকুইডিটি (Liquidity – অর্থ সহজে তোলার সুবিধা):

FD: মাঝারি, কারণ মেয়াদপূর্তির আগে তুললে জরিমানা দিতে হতে পারে।

মিউচুয়াল ফান্ড (SIP): উচ্চ, অর্থ তুলতে সমস্যা হয় না (ELSS ব্যতিক্রম)।

ETF: খুবই উচ্চ, কারণ শেয়ারের মতোই মার্কেটে যে কোনও সময় কেনা-বেচা করা যায়।

4. কর-সুবিধা (Tax Efficiency):

FD: কর-সুবিধা কম, সুদের উপর পুরোপুরি কর প্রযোজ্য।

মিউচুয়াল ফান্ড (SIP): মাঝারি থেকে উচ্চ; ১ বছরের বেশি সময় ধরে রাখলে লাভের উপর লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (LTCG) কর প্রযোজ্য, যা তুলনামূলকভাবে কম।

ETF: কর-সুবিধা বেশি, কারণ এটি ইকুইটি ভিত্তিক এবং LTCG রেট প্রযোজ্য।

5. উপযুক্ততা (Suitability):

  • FD: যাঁরা মূলধন নিরাপদ রাখতে চান, তাঁদের জন্য।
  • মিউচুয়াল ফান্ড (SIP): যাঁরা ধীরে ধীরে বড় অংকের সম্পদ গড়ে তুলতে চান।
  • ETF: যাঁরা কম খরচে এবং প্যাসিভভাবে বাজারে বিনিয়োগ করতে চান।

তাহলে কোনটি বেছে নেবেন?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কোনও একক বিনিয়োগ মাধ্যম সব আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই একটি সহজ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে—FD আপনার জরুরি তহবিল ও স্বল্পমেয়াদি (১–৩ বছর) লক্ষ্য পূরণে রাখুন; মিউচুয়াল ফান্ড SIP ব্যবহার করুন দীর্ঘমেয়াদি (৫–২০ বছর) লক্ষ্য পূরণের জন্য; আর ETF রাখুন কম খরচে দীর্ঘমেয়াদি প্যাসিভ ইনভেস্টমেন্ট ও বাজার ট্র্যাক করার জন্য।

একজন অভিজ্ঞ ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার বলেন, “ব্যালান্সড পোর্টফোলিও থাকলে বাজারের ওঠানামায় আপনি যেমন সুরক্ষিত থাকবেন, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে সম্পদও গড়ে তুলতে পারবেন।”

সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত সঞ্চয় এবং বিচক্ষণ বিনিয়োগই আপনাকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করে তুলতে পারে। তাই বিনিয়োগ করুন বুঝে, প্ল্যান করুন আগেভাগেই।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles