🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

রবীন্দ্রনাথসহ সমগ্র বাঙালির ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি এই বাঙালির হাত ধরেই

By Business Desk | Published: October 3, 2021, 10:56 am
Ad Slot Below Image (728x90)

বিশেষ প্রতিবেদন: ইংরেজি শিক্ষা, ইংরেজিতে কথা বলা, ইংলিশ মিডিয়ামে সন্তানকে পরানো নিয়ে আজ বাঙালির মাথাব্যথা। ইংরেজি না শিখলে সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট, এটা প্রায় ধরেই নেন এখনকার মা বাবারা। কিন্তু বাঙালি কী জানে বাঙালির এই ইংরেজ কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠা শুরু হয়েছিল এক বাঙালির হাত ধরেই। বাংলায় যদি বিদ্যাসাগর বর্নপরিচয় ঘটান, তাহলে ইংরেজিতে
প্যারিচরণ সরকার।

তাঁর ‘ফার্স্ট বুক’, বই পড়েই রবি ঠাকুরেরও ইংরেজিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। নারী শিক্ষার অগ্রদূত, সমাজ সংস্কারক এবং উনিশ শতকের বাঙলার পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা ছিলেন তিনি । যিনি প্রথম বৃটিশ শাসিত বাংলার মানুষদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। প্যারিচরণ সরকারের পাঠ্যবই বাঙালির সমগ্র প্রজন্মকে ইংরেজি ভাষার সঙ্গে পরিচিত করে। তাঁর পাঠ্যবইসমূহ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে এবং অধিকাংশ ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

বাংলায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত ছিলেন তিনি এবং এজন্য তাঁকে ‘প্রাচ্যের আর্নল্ড’ বলা হতো। তিনি তাঁর সময়কালে সুরাপান নিবারকরূপে সকলের দৃষ্টি ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছিলেন।

বাঙালির ইংরেজি শিখবার তৎকালীন প্রবণতায় তাঁর রচিত ‘ফার্স্ট বুক’ বইটি বাঙলার সামাজিক ইতিহাসে অক্ষর-মূর্তি হয়ে আছে। সেই প্যারিচরণ সরকারের জন্ম ১৮২৩ সালেল ২৩ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার চোরবাগানে। বাবার নাম বৈরব চন্দ্র সরকার।

প্যারীচরণ সরকার ডেভিড হেয়ারের পটলডাঙ্গার পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৮৩৮ সালে হেয়ার সাহেবের স্কুল থেকে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন।অতপর হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় মাসিক চল্লিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন।

১৮৪৩-এ হিন্দু কলেজের শিক্ষা শেষ করেন। হিন্দু কলেজের শিক্ষা শেষ করে কিছুকাল হুগলী ব্যাংকে চাকরি করার পর হুগলী স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন।

পরে তিনি বারাসতের গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রধাণ শিক্ষকের দায়িত্ব পান। ১৮৪৬-১৮৫৪ পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এরপর কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুলের প্রধান শিক্ষকরূপে আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর চেষ্টায় স্কুলটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হেয়ার স্কুল হয়।

পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের অস্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন প্যারীচরণ সরকার।
প্যারীচরণ সরকার তার শিক্ষকতা জীবনে ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে দেখেন, এদেশীয় ছাত্রদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি শেখার বই নেই।

তখন তিনি নিজেই লিখে ফেললেন ‘ফার্স্ট বুক অফ রিডিং ফর নেটিব চিলড্রেন’। পরে তিনি এর দ্বিতীয় ভাগও লিখেছিলেন। প্যারীচরণ সরকারের ফার্স্ট বুক হয়ত আজকাল আর কোন স্কুলে পড়ানো হয়না । কিন্তু বাঙালির তাঁর ইংরেজি মাসের দিন সংখ্যা জানতে শেখাও তাঁর হাত ধরেই। কোনটা জানেন? ‘Thirty days have September, April, June and November,/February has Twenty -Eight alone,
And the rest have thirty-one.’

প্যারীচরণ সরকার শুধু লেখেন নি, নিজে সেই বই ছাপাতেনও। উত্তর কলকাতায় এখনো রয়েছে তাঁর সেই বাড়ি এবং ছাপাখানা, যদিও জরাজীর্ণ অবস্থায়। 

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles