🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

বিসর্জনে নারাজ মথুর পরম শিক্ষায় খুঁজে পেয়েছিলেন বিজয়ার আনন্দবার্তা

By Business Desk | Published: October 15, 2021, 11:24 am
Mathura mohan and bijaya dashami
Ad Slot Below Image (728x90)

বিশেষ প্রতিবেদন: রামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে এতটাই মজেছিলেন তিনি যে ভুলেই গিয়েছিলেন বিজয়ার কথা। তিনি রাসমণি জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাস। চেয়েছিলেন ঠাকুরকে বিসর্জন না দিতে। পরম শিক্ষায় মন ভুলিয়েছিলেন পরম পুরুষ।

বাংলা ১২৭৭ সালে রানি রাসমণির অবর্তমানে পরিবারের কর্তা মথুরমোহন বিশ্বাস দুর্গা পুজো আয়োজন করে। সর্বভাবের মূর্ত বিগ্রহ, পরমপুরুষ শ্রী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব স্বয়ং এসেছেন মথুরবাবুর জানবাজারের বাড়িতে শারদীয়া দুর্গাপুজো উপলক্ষে।

একদিকে দশভুজার মহাপুজোর অনির্বচনীয় আনন্দ, অপরদিকে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কয়েক দিনের উপস্থিতিতে তাঁর সান্নিধ্য লাভ—এই অভাবনীয় আনন্দে বিহ্বল ও আত্মহারা মথুরমোহন সেদিন যে বিজয়ার বিসর্জন সে কথা অবলীলাক্রমে ভুলেই গিয়েছিলেন। পরে যখন বুঝে উঠলেন যে সেদিন বিজয়া দশমী, তখন নিরাশ আর মনোবেদনায় মুহ্যমান মথুরনাথ। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন মাকে আর বিসর্জন দিয়ে দুঃখ ডেকে আনবেন না। রাজামশাইয়ের দু’চোখ বেয়ে নামে অবিরত অশ্রুর ঢল।

অগত্যা সবাই শরণাগত হলো শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের উপর। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ মথুরের বুকে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন: ‘ও এই তোমার ভয়। একথা কে বলল যে, মাকে ছেড়ে তোমাকে থাকতে হবে? আর বিসর্জন দিলেও তিনি বা যাবেন কোথায়? মা এই তিনদিন ঠাকুর দালানে বসে তোমার পুজো নিয়েছেন। আজ থেকে তোমার আরও কাছে থেকে সর্বদা হৃদয়ে বসে তোমার পুজো নেবেন।’ অবশেষে ঠাকুরের স্পর্শানুভূতি ও মধুমাখা কথায় মথুরবাবু দমিত হলেন। রাজি হলেন তিনি মাকে বিসর্জন দিতে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles