🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Birsa Munda: যাক যদি যায় প্রাণ, মুন্ডাদের কাছে বিরসা আজও ভগবান

By Kolkata24x7 Desk | Published: November 15, 2021, 11:15 am
Birsa Munda
Ad Slot Below Image (728x90)

বিশেষ প্রতিবেদন: ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার-অবিচারের ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা করেন। বিদ্রোহীদের কাছে তিনি বিরসা ভগবান নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বিরসা মুন্ড, ভারতের রাঁচি অঞ্চলের একজন মুন্ডা আদিবাসী এবং সমাজ সংস্কারক।

বর্তমানের রাঁচি জেলার উলিহাটুতে ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর বিরসা জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুন্ডা সমাজে যে বারে জন্মাত সে বারের নামে নাম রাখার নীতি ছিল। বৃহস্পতিবারের দিনে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। তাই বাবা সুগানা ও মা করমি ছেলের নাম রেখেছিলেন বিরসা।

১৮৯৫ সালের দিকে বিরসা ভাবল চুপ করে থাকল হবে না। মুণ্ডাদের আদি সমাজ ও কুসংস্কার বাদ দিয়ে নতুন ধর্ম দেখতে হবে। তখন বিরসা মুন্ডার বয়স ছিল ২০ বছর। মুন্ডাদের জাগ্রত করতে, বিরসা গ্রামে গ্রামে প্রচার করেন। বিরসা বলল আমি বিরসা নই আমি ধরতি আবা। আমি মুন্ডাদের মরতে ও মারতে শেখাবো। এই খবর পৌঁছে গেলো রাঁচির ডেপুটি কমিশনারের কাছে। কমিশনার বিরসা মুন্ডা কে ধরার হুকুম দিলেন শেষে মুন্ডা গ্রেপ্তার হলো। বিচারে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো।

Birsa Munda

হাজারীবাগ জেল থেকে বিরসা মুন্ডা ১৮৯৭ সালের ৩০ নভেম্বর মুক্তি পান। বিরসা আবার নতুন করে মুন্ডাদের জাগ্রত করার চেষ্টা করলেন। এবার সব মুন্ডারা একের পর এক দায়িত্ব নিলেন। শুরু হলো বিদ্রোহের প্রস্তুতি। সভা হতে লাগল মুন্ডা এলাকার গ্রামে গ্রামে। তামাড় ও খুঁটির পর্বতমালা থেকে কিছু দূরে ডোম্বা বা সাইকোর বনে ঢাকা উপত্যকা ডোম্বারি এলাকায় বিরসা তার প্রধান ঘাঁটি বানিয়ে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৮৯৮ সালের ফেব্রয়ারি মাস থেকে ১৮৯৯ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডোম্বারি পাহাড়ে বিরসাইতরা সভা করে। এ সভায় বিরসা ব্রিটিশ রাজের লাল নিশান দেখিয়ে মুন্ডাদের বলে, ‘দিকুদের সঙ্গে যুদ্ধ হবে। এই নিশানের মতো লাল রক্ত বইবে মাটিতে।’

১৮৯৯ সালের বড় দিনে ইংরেজরা খুশিতে মেতে উঠেন। এই সময়টায় ছিল বিরসা মুন্ডার লক্ষ্য। সিংভূম ও রাঁচির ছয়টি থানায় মুন্ডারা মিশনগুলোয় আক্রমণ করে। বেশ কিছু ইংরেজ সাহেব ও চৌকিদার আহত ও নিহত হন। ইংরেজদের মাথার টনক নড়ে যায়। ১৯০০ সালের ৬ জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহীরা এক জার্মান জঙ্গল চৌকিদার ও তার চাকরকে হত্যা করেন। ডেপুটি কামশনার বিরসাকে ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সৈলরাকাব পাহাড়ে অভিযান চালায় ইংরেজ বাহিনী। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় পাহাড়টি। স্ট্রিটফিল্ড বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করেন, কিন্তু বিদ্রোহীরা তার এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি। শুরু হয় এক অসম যুদ্ধ। একদিকে চলে ঝাঁকে ঝাঁকে বন্দুকের গুলি, অন্যদিকে মুন্ডাদের তীর। সেখান থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান বিরসা মুন্ডা ও তার সঙ্গীরা।

১৯০০ সালের ফেরুয়ারির ১৩ তারিখে বিরসা সেনত্রা জঙ্গলে ঘুমাচ্ছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বিরসা মুন্ডা কে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে বিরসা মুন্ডা ও তার দুই সঙ্গীর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, ১২ জনের দ্বীপান্তর ও ৭৩ জনের দীর্ঘ কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়। জেলেই বিরসা মুন্ডাকে খাবারের নাম করে খাবারে বিষ প্রয়োগ করেছিল। যার কারনে বিরসা মুন্ডাকে অসুস্থ্য হতে হয় ও পরে তার জেলেই মৃত্যু হয়। তারিখটি ছিল ৯ জুন ১৯০০ সালে। বিরসার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কলেরা বলা হলেও বিরসার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তার মৃত্যুর পূর্ব লক্ষণের সঙ্গে কলেরা রোগের মিল পাওয়া যায়নি। অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার মনে করেন বিরসাকে অর্সেনিক বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল।

<

p style=”text-align: justify;”>আদিবাসীদের কাছে আজও বিরসা ভগবান হয়ে বেঁচে আছেন। বিরসা দেখিয়ে গেছেন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles