🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

পাঞ্জাব কেশরীর পূর্ণ স্বাধীনতার ডাক ছড়িয়ে পড়েছিল পরাধীন ভারতে

By Kolkata24x7 Desk | Published: November 17, 2021, 4:28 pm
Lala Lajpat Roy
Ad Slot Below Image (728x90)

বিশেষ প্রতিবেদন: লালা লাজপত রায়, তিনিই প্রথম পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব রেখেছিলেন,সঙ্গে পেয়েছিলেন বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিনচন্দ্র পালকে। তাদের সেই দাবি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই প্রস্তাবে সমস্ত দেশবাসী তাদের সঙ্গ দিতে বাধ্য হয়। তিনি লালা লাজপত রায়।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একজন মহান বিপ্লবী নেতা ছিলেন তিনি। তিনি ইংরেজদের লাঠি চার্জের আহত হয়ে মারা যান। তাকে পাঞ্জাব কেশরীও বলা হয়। লালা লাজপত রায় পাঞ্জাব সেন্ট্রাল ব্যাংক ও লক্ষী বীমা কোম্পানির স্থাপনা করেছিলেন। ইনি ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস গরম দলের তিন প্রমুখ নেতা লাল-বাল-পাল এর মধ্যে একজন ছিলেন।

লালা লাজপত রায় ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে এক মিছিল বের করেন। যার ফলে ইংরেজ লাঠি চার্জের আদেশ দেন। এই লাটি চার্জে লালা লাজপত রায় গুরুতর আহত হন ও আঘাতের ফলে তার মৃত্যু ঘটে।

Lala Lajpat Roy

লালা লাজপত রায় এর জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৮৬৫ সালে পাঞ্জাবে হয়েছিল। তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস এর গরম দলের নেতা ছিলেন, তার সঙ্গে বিপিনচন্দ্র পাল ও বাল গঙ্গাধর তিলকও ছিলেন। লালা লাজপত রায় স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে মিলে আর্য সমাজকে পাঞ্জাবে লোকপ্রিয় করে তোলেন। লালা হংসরাজ ও কল্যাণ চন্দ্র দীক্ষিত এর সঙ্গে তিনি দয়ানন্দ ইংলো বৈদিক বিদ্যালয়ের প্রসার করেন। সেটাকে আজকের দিনে D.A.B স্কুল বা কলেজ নামে চেনা যায়।

লালা লাজপত রায় বিভিন্ন স্থানে শিবির গড়ে মানুষের সেবা করতেন। দিনটি ছিল ৩০ অক্টোবর ১৯২৮ সাল, সাইমন কমিশন লাহোরে যাত্রা করেন। এই কমিশনের বিরুদ্ধে যোগ দিয়ে একটি বিশাল মিছিলের প্রদর্শন করেন। সেই মিছিলের একটাই শ্লোগান “সাইমন গো ব্যাগ” মিছিল তীব্র রূপ ধারণ করে। যার ফলে ইংরেজ সরকার লাঠি চার্জের আদেশ দেয়। লালা লাজপত রায় সামনের সরিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। একটির পর এক লাঠি তার শরীরে আঘাত হানে।

আঘাতে পুরো শরীর রক্তাত্ত হয়ে পড়ে, তবুও তিনি বলছেন ‘সাইমন গো ব্যাগ’। আঘাতের পর আঘাত সে সময় তিনি একটাই কথা বলেন, ” मेरे शरीर पर पड़ी एक-एक लाठी ब्रिटिश सरकार के ताबूत में एक-एक कील का काम करेगी”। আর সেখানেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গেলেন, আর কোনদিন জ্ঞান ফিরলো না। ঠিক ১৭ দিন পর ১৯২৮ সালের ১৭ ই নভেম্বর শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তার প্রাণবায়ু।

<

p style=”text-align: justify;”>লালা লাজপত রায় এর মৃত্যুর বদলা নিতে হবে, শপথ নিলেন বিপ্লবীরা। তাদের প্রিয় নেতার হত্যাকারীকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। এগিয়ে এলেন বীর বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ, ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব ও অন্যান্য বিপ্লবীরা। ঠিক ১ মাস পরেই ১৯২৮ সালের ২৭ ই ডিসেম্বর তারা স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles