🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

১৯ বছরের বিপ্লবীর শেষ যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ

By Kolkata24x7 Desk | Published: November 14, 2021, 1:39 am
freedom fighter uday chanda jain
Ad Slot Below Image (728x90)

বিশেষ প্রতিবেদন: ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য ১৮৫৭ সালে শুরু হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ৯০ বছর ধরে এই যুদ্ধ চলে। ১৯৪২ এর আন্দোলনে বহু বীর শহীদ হয়। অন্যতম উদয়চন্দ জৈন। প্রাচীন মহাকৌশল ও আজকের মধ্যপ্রদেশের প্রাচীন আর প্রসিদ্ধ নগর মন্ডলা। মন্ডলার লোকজন অমর শহীদ উদয়চন্দ জৈন-এর কথা এখনও স্মরণ করে।

উদয়চন্দ জৈন মাত্র ১৯ বছর বয়সে বুকে ইংরেজদের গুলি খেয়ে স্বাধীনতার মার্গ প্রশস্ত করেন। উদয়চন্দ জৈন-এর জন্ম হয়েছিল ১০ ই নভেম্বর ১৯২২ সালে হয়। তার পিতার নাম ছিল ত্রিলোকচন্দ জৈন। তিনি তো মেধাবী ছাত্র ছিলেনই, সাথে নেতৃত্ব ও ক্ষমতার জন্য ছাত্র সংঘের প্রধান নেতৃত্বকারি বানানো হয় তাকে। ১৯৪২-এর আন্দোলন সারা দেশকে জাগ্রত করে তোলে। “করো ইয়া মারো” শ্লোগান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন মন্ডলা নগরও পিছিয়ে থাকেননি। ১৪ আগস্ট ১৯৪২ সাল শ্রী মন্নুলাল মাদী ও মথুরা প্রসাদ যাদব-এর আহ্বানে জগন্নাথ হাই স্কুলের ছাত্ররা হরতাল শুরু করেন।

উদয়চন্দ জৈন দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। প্রসিদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী গোপাল প্রসাদ তিওয়ারি তার স্মরণে লিখেছিলেন- ইংরেজের অত্যাচারে যখন লোকজন পালাতে শুরু করে তখন আমি উদয়চন্দ জৈনকে বলেছিলাম, এক উচু স্থানে গিয়ে লোকজনকে সামলাও আমি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করি। এই ভাবে উদয়চন্দ জৈন এক উঁচু স্থানে গিয়ে দাড়ান ও পুরো শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করতে বলেন। এবার লোকজন আবারো এক হয়ে তাদের শ্লোগান শান্তিপূর্ণ ভাবে দেন।

উচ্চ ইংরেজ জেলার পুলিশকে গুলি চালানোর আদেশ দেন। পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করেন, আর গুলি উদয়চন্দ জৈন এর পেট চিরে শরীরে প্রবেশ করেন। উদয়চন্দ জৈন “ভারত মাতার জয়” বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাটিতে রক্তের নদী বয়ে যাচ্ছে, তখন পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সমস্ত লোকজন হাসপাতালের দিকে রওনা হন। লোকজনেরা পুলিশের রক্তের পিপাসা হয়ে ওঠে।

উদয়চন্দ জৈন ১৯৪২-এর ১৫ ই আগস্ট পুরো রাত গুলির আঘাতে কাতরাতে থাকে, কিন্তু ১৬ ই আগস্ট বীরগতি প্রাপ্ত হন। উদয়চন্দ জৈন মরেও অমর হয়ে রইলেন। জেলা প্রতিনিধি গজাধর সিং তিওয়ারি উদয়চন্দ জৈন-এর পিতার কাছে গিয়ে বলেন চুপচাপ তার ছেলের অন্তিমসংস্কার করা হোক। ত্রিলোকচন্দ ধৃঢ়তা পূর্বক এর বিরোধিতা করেন। নগরের প্রসিদ্ধ উকিল শ্রী অসগর আলী ক্রমশ: মন্ডলা ও মহারাজপুর জনগন ও পুলিস প্রশাসকে আশ্বস্ত করেন, অন্তিম সংস্কার-এর এই আন্দোলনে হিংসা হবে না। হ্যাঁ, যদি পুলিস প্রশাসন এই অন্তিম যাত্রায় শামিল হন তবে দাঙ্গা ও খুনাখুনি থামানো যাবে না।

মণ্ডলার ইতিহাসে এমন অন্তিম যাত্রা কখনো বের হয় নি। সোনা যায় যে প্রায় ৯ হাজার লোকজন এই অন্তিম যাত্রায় শামিল হন। সেই সময় মন্ডলায় মাত্র ১২ হাজার গ্রামবাসী ছিল। মন্ডলায় তার নামে একটি স্কুল চালু করা হয়। ১৬ ই আগস্ট প্রতি বছর সেখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরই মাঝে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles