অফবিট ডেস্ক: বাঙালির খেলায় যদি রাজা হয় ফুটবল, মাছের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সেই সিংহাসন ইলিশের। ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ পোলাও, ইলিশ ভাজা বা ইলিশের মালাইকারী, ইলিশের তেল-ঝোল, ইলিশ দিয়ে কচুর শাক… বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে ইলিশের জুড়ি মেলা ভার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাঙালির সাধের রুপালি শস্য বিকোচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে। ইলিশের ভাল-মন্দ নিয়ে আম বাঙালির মধ্যে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। নদী না সমুদ্রের— কোন ইলিশের স্বাদ বেশি?
নদী এবং সাগরের ইলিশের মধ্যে পার্থক্য:
- গুজরাতের বা সমুদ্র থেকে ধরা ইলিশ আকারে তুলনামূলক ছোট আর লম্বাটে। পদ্মা বা নদীর ইলিশ দেখতে তুলনামূলক ভাবে একটু গোলগাল, আকারেও বড়।
- নদীর ইলিশ চকচকে বেশি হয়, বেশি রুপালী ধরনের। সাগরের ইলিশ তুলনামূলক কম উজ্জ্বল।
- ভালো ইলিশের চোখ থাকবে স্বচ্ছ। দেখাবে উজ্জ্বল। কোল্ড স্টোরেজে রাখা ইলিশের চোখ ভিতরের দিকে ঢুকে থাকবে এবং ঘোলাটে দেখাবে।
- তাজা ইলিশের গন্ধ অন্যরকম। কোল্ড স্টোরেজে রাখা হলে ইলিশ তার সেই গন্ধ হারিয়ে ফেলে।
- টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। অনেক সময় বাজারে দেখা যায়, ইলিশ মাছ বাঁকা হয়ে আছে। এটাই হলো সদ্য ধরা ইলিশের সবচেয়ে বড় লক্ষণ।
- তাজা ইলিশের কানকোয় একটা লালচে ভাব থাকবে। বাসি হলে লালচে ভাব চলে গিয়ে ধূসর বা বাদামি রং ধারণ করবে।
নদী ও সমুদ্রের ইলিশের পার্থক্য তুলে ধরতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাগরের ইলিশের থেকে নদীর ইলিশের স্বাদ ভালো। নদীতে আসার পর খাবারের কারণে ইলিশের স্বাদ বাড়ে। সাগরের ইলিশে নোনা ভাব বেশি থাকে। সমুদ্র থেকে ইলিশ নদীতে আসার পর নদীর উজানে অর্থাৎ স্রোতের বিপরীতে যখন চলে, তখন ইলিশের শরীরে ফ্যাট বা চর্বি জমা হয়। এই ফ্যাট বা তেলের জন্যই ইলিশের স্বাদ হয়। আবার অনেকের মতে, ডিম ছাড়ার আগে পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ বেশি থাকে। ডিমওয়ালা মাছের পেটি পাতলা হয়ে যায়। সেইসঙ্গে চর্বি কমে যায়। এ কারণে স্বাদও কমে যায়।