🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

ISL: চেন্নাইন এফসি’র বিরুদ্ধে ড্র করল ATK মোহনবাগান

By Kolkata24x7 Desk | Published: December 11, 2021, 9:49 pm
ATKMB drew against Chennai FC
Ad Slot Below Image (728x90)

Sports desk: দুই ম্যাচে জয় এবং পরের দুই ম্যাচে হার, ১০ দিনের মাথায় ATK মোহনবাগানের। শনিবার গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে ATKMB প্রথম একাদশে তিন পরিবর্তন, চেন্নাইন এফসি’র (CFC) বিরুদ্ধে। তিরি’র বহু প্রতীক্ষিত প্রথম আগমন চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL), দীপক টাংড়ি। আর ATKMB গোলকিপার অমরিন্দর সিং’র ISL শততম ম্যাচ খেলতে নামা। কিন্ত এই ম্যাচ ড্র ATKMB 1-1 CFC।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে গোল লিস্টন কোলাসোর এবং ভ্লাদিমি’র কোমানের গোল ৪৫ মিনিটে, চেন্নাইন এফসি’র হয়ে।

অন্যদিকে,চেন্নাইন এফসি’র (CFC) দুই পরিবর্তন, এডউইন এবং লুকাজ এই মরসুমে প্রথমবারের মতো শুরু করেছেন ISL অভিযান।

খেলা শুরুর ১৮ মিনিটে দুরন্ত ফর্মে থাকা ATKMB’র খেলোয়াড় লিস্টন কোলাসোর গোল,রয় কৃষ্ণর পাস থেকে। গোল খেয়ে চেন্নাই’র দল গোলের সমতা ফেরাতে মরিয়া হলেও ATKMB’র ডিফেন্স আটোসাটো তিরি’র মাঠে নামতেই।

২০ মিনিটে থাপা-এডুইনের যুগলবন্দী, শেষ মুহুর্তে তিরি’র ক্লিয়ারেন্স। ২৭ মিনিটে CFC’র ভ্লাদিমি’র কোমানের দূরপাল্লার শট বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৯ মিনিটে ATKMB’র গোলপোস্ট লক্ষ্য করে CFC অধিনায়ক অনিরুধ থাপার দুরন্ত বাঁ-পায়ের স্ট্রাইক শট, কয়েক ইঞ্চির ব্যবধানে বল গড়িয়ে বেরিয়ে যায়। ATKMB 1-0 CFC। গোলের সমতায় ফিরে আসতে মরিয়া প্রচেষ্টা CFC’র।

৩৭ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি,কেননা CFC গোলকিপার বিসাল কাইথের গ্লাভসে বল জমা পড়ে।

৪১ মিনিটে ব্যাক টু ব্যাক কর্ণার CFC অনিরুদ্ধ থাপার, ATKMB’র বিরুদ্ধে চাপ বজায় রেখে ৪৫ মিনিটে ভ্লাদিমি’র কোমানের গোলে চেন্নাইন এফসি গোলের সমতায় ফিরে আসে,ATKMB 1-1 CFC, গোলের গন্ধে চার্জড চেন্নাইন এফসি।

দ্বিতীয়ার্ধতে ATKMB মাঝমাঠে অনিরুদ্ধ থাপাকে নিয়ে হিমশিম। দুরন্ত ছন্দে থাপা বল পায়ে গোলের লিড বাড়াতে অনেক বেশি আগ্রাসী মুডে। কেননা CFC গোটা টিম নিজেদের অপরাজিত তকমা হারাতে নারাজ, চলতি ISL’এ। টিমওয়ার্ক এটিকে মোহনবাগানের (ATKMB) বিরুদ্ধে গোলের লিড বাড়াতে চেন্নাইন এফসি (CFC) এখন খোঁচা খাওয়া বাঘ।

বিপদজনক ট্যাকল CFC’র খেলোয়াড় ভ্লাদিমির কোমানের, যা কোনও মতেই মাথা নেড়ে হাবাস মেনে নিতে পারছে না। রেফারিং নিয়ে আজও অসন্তুষ্ট তা বোঝাই গেল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের অন দ্য ফিল্ড প্রতিক্রিয়াতে।

৫৫ মিনিটে ATKMB’র হুগো বৌমাসের ক্রস, কিন্তু রিসিভিং এন্ডে অর্থাৎ ওই ক্রস ধরার কোনও সবুজ মেরুন ফুটবলার নেই,সুযোগ জলে গেল ATKMB’র। ৫৮ মিনিটে এডউইনের ব্যর্থ টার্গেট, কারণ গোলের জন্য নেওয়া শট বেরিয়ে যায়।

৬১ মিনিটে মনভীর সিং’র গোলের লিড বাড়ানো শট CFC’র গোলকিপার বিসালের হাতে বন্দী, ম্যাচের স্কোরলাইন এখনও ATKMB 1-1 CFC। ৬৬ মিনিটে এডউইনের শট ব্যর্থ প্রচেষ্টার (Effort less short) একটি নমুনা, সুযোগ হাতছাড়া করায় নিজেই নিজের আঙুলে কামড় এডউইনের। কেউই গোলের লিড বাড়াতে পারেনি।

অন্যদিকে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে অন্য ম্যাচে চলতি ISL’ বেঙ্গালুরু এফসি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী শততম ম্যাচ খেলছেন বাম্বোলিম্ব স্টেডিয়ামে।

৭২ মিনিটে এডউইনের ক্লান্ত পা’কে বিশ্রাম দিতে রহিমকে নামিয়ে ফ্রেস লেগ ইনপুট চেন্নাইন এফসি’র, ATKMB’র বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে লিস্টনের জায়গাতে সোসাইরাজ সবুজ মেরুনেও পরিবর্তনের হাওয়া ম্যাচ চলাকালীন।

ম্যাচের ৮৫ মিনিট, ঘড়ির কাটা টিক টিক করে গড়াচ্ছে অন্তিম লগ্নের দিকে ATKMB 1-1 CFC গোলের সমতায়। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে গোলের লকগেট কেউই খুলতে পারছে। ৮৮ মিনিটে হুগো বৌমাসের ক্রস মনভীর সিং’র দুর্বল হেডার গোলের সুবর্ণ সুযোগকে হাতছাড়া করে। ৯০ মিনিটে ডেভিড উইলিয়মসের ক্রস চেন্নাইন এফসি’র গোলকিপার বিসাল কাইথের গ্লাভসে সুরক্ষিত জমা পড়ে রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ম্যাচ ড্র হয়ে যায়, খেলার রেজাল্ট ATKMB 1-1 CFC।

 

 

 

——————
মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে বরাদ্দের ৮০ শতাংশই খরচ হয় বিজ্ঞাপনী প্রচারে

প্রতিবেদন, ক্ষমতায় এসে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন এই প্রকল্প চালু করতে গিয়ে যত প্রচার করা হয়েছে আদতে কাজ হয়েছে তার নামমাত্র। অনেকেই এটাকে নিন্দুকের অপপ্রচার বলেছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ যে এতটুকু ভুল নয় তার প্রমাণ মিলল মোদি সরকারের পেশ করা রিপোর্টেই। কেন্দ্রীয় নারী কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
ওই সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে প্রথম তিন বছরে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার ৮০ শতাংশই খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনী প্রচারে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের প্রচারের খরচ মেটানোর পর বাকি ২০ শতাংশ টাকা যাদের জন্য ওই প্রকল্প তাদের পিছনে খরচ করা হয়েছে। যে সংসদীয় বিষয়ক কমিটি ওই রিপোর্টে দিয়েছে তার মাথাতে আছেন বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিট।
ওই কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প ৪৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল মোদি সরকার। বরাদ্দকৃত টাকার ৭৮.৯১ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে। প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অত্যন্ত ফলাও করে এই প্রকল্পটির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির মোদির ওই স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, দেশে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং কন্যা ভ্রুণ হত্যার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা। কিন্তু সংসদীয় কমিটির ওই রিপোর্টের পর সেই কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ ওই কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পাঁচ ভাগের চার ভাগে চলে গিয়েছে শুধু বিজ্ঞাপনী খরচ মেটাতে।
সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট বলছে, শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বিজ্ঞাপনী খরচ বেড়েছে। তুলনায় কমেছে মূল কাজের খরচ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সামান্য পরিমাণ অর্থ দিয়ে কিভাবে এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যেতে পারে? তবে সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি মোদি সরকারের কাছে। বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ করেছেন, মোদি যত না কাজ করেন তার চেয়ে প্রচার করেন অনেক বেশি। তাঁর প্রচারের ঘনঘটা যে কোন মানুষকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। এটা যে নিতান্তই বিরোধীদের অপপ্রচারে ছিল না সরকার নিজেই সে কথা স্বীকার করে নিল।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles