🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

আগামীদিনে ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে বিজেপি: প্রশান্ত কিশোর

By Political Desk | Published: October 28, 2021, 9:58 pm
Prashant Kishor
Ad Slot Below Image (728x90)

News Desk: কংগ্রেসকে কার্যত আরও হতাশার মধ্যে ফেলে দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। বৃহস্পতিবার প্রশান্ত স্পষ্ট জানালেন, আগামী আরও কয়েক দশক ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে বিজেপি। গেরুয়া দল যদি ক্ষমতায় নাও থাকে তবুও তারা ভারতীয় রাজনীতির ভর কেন্দ্র হিসাবেই থাকবে।

এই দল যদি গোটা দেশে ৩০ শতাংশ ভোট পায় তবে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অনেক বেড়েছে। মোদির প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি ভাবেন, মানুষ মোদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে তা হবে না। বরং মোদি যদি পরাজিত হন তাতেও বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা এতটুকু কমবে না। বৃহস্পতিবার গোয়ায় বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত স্পষ্ট বলেছেন ঠিক যেভাবে বিগত ৪০ বছর কংগ্রেস দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিজেপি ও তেমনই আগামী কয়েক দশক দেশের রাজনীতির মূল আকর্ষণ হিসাবে থেকে যাবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলিকে লড়তে হবে বিজেপির সঙ্গেই।

একই সঙ্গে প্রশান্ত এদিন কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর সমালোচনাও করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছিলেন সেটা ছিল ভুলে ভরা। রাহুল মনে করেছিলেন, তাঁকে কিছুই করতে হবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এটা যে ভুল ছিল সেটা তো ২০১৯- এর লোকসভা নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। রাহুল বোঝার চেষ্টাই করলেন না, মোদি কেন এত জনপ্রিয়। মোদির শক্তি এবং দুর্বলতা কোথায়। যতদিন না মোদি সম্পর্কে রাহুল সঠিক বিশ্লেষণ করবেন ততদিন তিনি মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছতে পারবেন না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতির আঙিনায় প্রশান্ত কিশোর বিজেপির তীব্র বিরোধী। কিন্তু এই মন্তব্যের ক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তাঁর চরম পেশাদারিত্ব। স্বাভাবিকভাবেই দেশের সেরা ভোট কুশলীর এই মন্তব্যে রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে গোয়ায় রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় পৌঁছেছেন। ঠিক সেদিনই প্রশান্তর এই মন্তব্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পিকের এদিনের মন্তব্য নিয়ে যথারীতি বিজেপি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। গেরুয়া নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি সম্পর্কে পিকে যে মন্তব্য করেছেন সেটা একজন পেশাদার মানুষ হিসেবেই তিনি বলেছেন। পিকে যদি এই কথা না বলতেন তাহলও এটাই প্রকৃত বাস্তব। ভারতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতি আগামী পাঁচ দশক যে বিজেপি দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাই বিজেপিকে অপ্রাসঙ্গিক করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এদিন এই বাস্তব চিত্রটাই মেনে নিয়েছেন পিকে।

একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কংগ্রেস প্রতিদিনই দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিজেপি চায়, শক্তিশালী গণতন্ত্রিক পরিকাঠামো গঠনের জন্য একটা মজবুত বিরোধীদল থাকুক। কিন্তু দেশে এই মুহূর্তে কোনও শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। এটা দেশের পক্ষে আদৌ মঙ্গলের নয়।

বিজেপির এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বিরোধী দলের দুর্বলতা বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত। তিনি বলেছেন, বিরোধী শিবিরের ভোট ভাগাভাগি কারণেই বিজেপি নির্বাচনী ময়দানে ফায়দা লুটছে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এই মুহূর্তে লড়াইটা চলছে দুই-তৃতীয়াংশের সঙ্গে এক-তৃতীয়াংশের। দেশের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট একাধিক দলের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। কংগ্রেসের প্রভাব কমার কারণেই আঞ্চলিক দলগুলি মাথাচাড়া দিয়েছে। এই আঞ্চলিক দলগুলি জাতীয় রাজনীতিতে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই বিজিপিকে টক্কর দিতে হলে কংগ্রেসকেই শক্তি অর্জন করতে হবে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles