🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Imagine: লজেন্সের দামে মিলছে পোশাক, শুধুমাত্র রবিবারেই করা যায় কেনাকাটা

By Sports Desk | Published: November 4, 2021, 5:54 pm
Imagine
Ad Slot Below Image (728x90)

News Desk: বহু গরিব মানুষ আছেন যারা বেশিরভাগ সময়ই নতুন পোশাক কিনতে পারেন না। মানুষের ফেলে দেওয়া পোশাক গায়ে দিয়েই দিন কাটান তাঁরা। এরকম মানুষের জন্যই লজেন্সের দামে শুরু হয়েছে পোশাক বিক্রি।

তবে বাংলার কোন শহরে নয়, এই পোশাক মিলছে বেঙ্গালুরুতে (bengaluru)। ওই পোশাক বিপণিতে যে কোনও বয়সের মানুষ নিজেদের পছন্দমতো পোশাক বেছে নিতে পারেন। যে কোনও ধরনের পোশাকের দাম মাত্র ১ টাকা।

এটা কোন গল্প-কাহিনী নয়, এটাই বাস্তব সত্যি। বেঙ্গালুরুতে ‘ইমাজিন ক্লোদ ব্যাংক’ (imagine cloth bank) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গরিব মানুষের জন্য এই পোশাক বিপণিটি চালু করেছে। তবে এই ক্লোদ ব্যাংক শুধুমাত্র রবিবার খোলা থাকে। ইমাজিন ক্লোদ ব্যাংক কোনও টাকা পয়সা জমানোর জায়গা নয়। এটি একটি রীতিমত পোশাকের দোকান। এখানে যে কোনও বয়সের মানুষ তাঁদের চাহিদা মতো পোশাক পেয়ে থাকেন। তবে যে পোশাকই নেওয়া হোক না কেন, ক্রেতাকে তার জন্য দিতে হয় মাত্র ১ টাকা। প্রশ্ন হল আজকের দিনে কিভাবে এক টাকায় পোশাক বিক্রি করছে এই ক্লোথ ব্যাংক!

Imagine

জানা গিয়েছে, আজকের দিনে বহু ধনী মানুষ অকারণেই পোশাক কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন আলমারিতে ফেলে রাখার পর সেগুলি তাঁরা ফেলে দেন। ইমাজিন এর স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেইসব নতুন পোশাক সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি বর্তমানে এই ব্যাংককে পোশাক দিয়ে সহযোগিতা করছে একাধিক সংস্থা, ধনী ব্যক্তি ও সংগঠন। তাদের কাছ থেকে পোশাক সংগ্রহ করার পর সেগুলি মানুষের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতি রবিবারে খোলা হয় ক্লোদ ব্যাংকের দরজা। তখনই মানুষ কেনাকাটা করেন।

এই পোশাক বিক্রি করে যে আয় হয় সে টাকাও এই সংস্থাটি নিজেরা নেয় না। বরং ওই টাকা খরচ করা হয় দুস্থ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজনে। উল্লেখ্য ইমাজিন ক্লোদ ব্যাংকের সূচনা হয়েছিল ২০০২ সালে। নীতিন (nitin kumar) কুমার এবং বিনোদপ্রেম (binod)লোবো নামে দুই কলেজ পড়ুয়া বন্ধু এই ব্যাংক চালু করেছিলেন। কিন্তু পড়াশোনার পাঠ শেষ হওয়ার পর দুই বন্ধু চাকরি জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। থমকে যায় তাঁদের এই মহৎ উদ্দেশ্য।

কিন্তু করোনাজনিত অতিমারির কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফের এই দুই বন্ধু এই পোশাক ব্যাংকটি চালু করতে উদ্যোগী হন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ভিগনেশ ও মেলিশা নামে আরও দুই বন্ধু। এই চার বন্ধুই কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি করেন। নিজেদের পেশা সামলে তাঁরা ব্যাংকের জন্য প্রচুর সময় দেন। মেলিশা জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ২০০ পরিবার তাঁদের এই দোকানে কেনাকাটা করেন। ইদানিং পোশাকের সঙ্গে বিছানার চাদর, পর্দা, তোয়ালে, গামছাও এই পোশাক বিপণিতে রাখা হচ্ছে। ক্লোদ ব্যাংকের এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থা তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। এই সমস্ত সংস্থা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে পোশাক কিনে দিয়ে থাকে। পাশাপাশি বহু ধনী ব্যক্তিও ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যাংকে পোশাক দান করেন। খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন প্রবাসী ভারতীয়ও ইমাজিন ক্লোদ ব্যাংকে পোশাক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

<

p style=”text-align: justify;”>ইমাজিন ক্লোদ ব্যাংকের চার বন্ধু জানিয়েছেন, তারা শুধু পোশাক বিক্রি করেই থেমে থাকতে রাজি নন। বরং তাঁরা আগামী দিনে দুঃস্থ শিশুদের জন্য খেলনা ব্যাংক চালু করার কথাও ভাবছেন। পাশাপাশি দুঃস্থ শিশুরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে তার জন্যও কিছু করার পরিকল্পনা করছেন।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles