🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Coal crisis: কয়লার অভাবে মহারাষ্ট্রে ১৩টি-সহ দেশে ২০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ হল

By Sports Desk | Published: October 11, 2021, 4:23 pm
Coal crisis in Maharashtra 
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং আশ্বাস দিয়েছিলেন কয়লার কোনও সমস্যা হবে না। সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবিলম্বে পৌঁছে যাবে চাহিদামত কয়লা। কিন্তু মন্ত্রীর কথা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক অনেকটাই। সোমবার কয়লার অভাবে মহারাষ্ট্রে ১৩টি-সহ গোটা দেশে ২০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল।

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি ১৩টি কেরলে চারটি এবং পাঞ্জাবে তিনটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লার অভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ কর্ণাটকেও। সেখানেও দু-একদিনের মধ্যে কয়লা পাঠানো না হলে বেশ কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

কয়লার এই সঙ্কটের জন্য পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র যথারীতি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছে। পাঞ্জাব সরকারের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকার নিয়মিত পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এখন তারা নেমেছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খেলায়। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে নয় বরং কিভাবে বিপদে ফেলতে হয় সেটা মোদি সরকার ভালই জানে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, কয়লার অভাবের কারণে দিল্লিতেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ধুঁকছে। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র উদ্যোগী না হলে গোটা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। চলতি সমস্যা সমাধানের জন্য কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, মোদি সরকার কোনও সমস্যাকেই সমস্যা বলে মনে করে না। তারা চোখ বন্ধ করে থাকে। সে কারণেই দেশে একের পর এক সমস্যা বেড়ে উঠছে। এখন কৃষকদের আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতেও অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।

চলতি পরিস্থিতিতে কিভাবে কয়লার জোগান বাড়ানো যায় তা নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিভাবে রাজ্যগুলিতে চাহিদামত কয়লা দ্রুত সরবরাহ করা যায় সে বিষয়ে শাহর সঙ্গে কথা বলেন আরকে সিং। 

মহারাষ্ট্রের ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন সোমবার জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে রাজ্যে ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে মহারাষ্ট্রে ৩৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হল। ফলে গোটা রাজ্যে লোডশেডিং বেড়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুতের জন্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উপর কতটা নির্ভর করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের আশঙ্কা, কয়লার অভাবে আগামী দিনে রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোটা রাজ্য এই উৎসবের মরসুমে অন্ধকারে ডুবে যাবে। চলতি সমস্যার সমাধানে গ্রাহকদের যতটা সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করতে বলা হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু ভারত নয় গোটা দেশেই কয়লার মজুত ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। তাই অবিলম্বে বিকল্প জ্বালানির উৎসের সন্ধান করা না গেলে প্রতিটি দেশকেই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles