প্রাথমিক গণনায় বিজেপি দুশো অধিক, জয়ীদের তৃণমূলে যোগ সম্ভাবনা। প্রাথমিক গণনায় দুশোর কিছু বেশি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। তাদের সাথে কড়া টক্কর বাম শিবিরের। তৃণমূল বহু এগিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা শুরু করেছেন উচ্ছাস। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিজেপির সমর্করাও আনন্দ করছেন।
শুধমাত্র বামফ্রন্ট জোটের বাকি দলগুলি যথা সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মিলিত আসনের সাথে সিপিআইএমের প্রাপ্তি যোগ করলে বামফ্রন্টের চেহারা আরও বড় হতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী ( সকাল ১১;১৬), তৃণমূলের দখলে ২৮৯, এগিয়ে ১৬২৯ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৩৩০, সিপিএম এগিয়ে ২৩১ আসনে, কংগ্রেস এগিয়ে ১৮ তে, অন্যান্য ১৬৯। প্রাথমিক গণনায় বিজেপি দুশোর অধিক। মনে করা হচ্ছে যে বিজেপির জয়ীদের তৃণমূলে যোগের প্রবল সম্ভাবনা।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা, নির্বাচন, পুনর্নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা রাজ্য। দিকে দিকে সন্ত্রাস এবং মৃত্যুমিছিল। ভোট পর্বে রাজ্য মৃতের সংখ্যা ৪১।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রথমে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং শেষে জেলাই পরিষদের। ৩৩৯ টি কেন্দ্রে গণনা চলছে।
রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু। গ্রাম বাংলার রায় ব্যালটবাক্স বন্দি। সেই ব্যালট গণনার সর্বশষ ফলাফল আসতে রাত হয়ে যাবে। চূড়ান্ত ফলাফল তারও পরে। তবে এসবের মধ্যে একটি প্রশ্ন ও একটি আশঙ্কা প্রবল। প্রথমত গ্রামাঞ্চলে বিরোধী পক্ষ কারা? দ্বিতীয়ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় গণণা হলেও গণনা কেন্দ্রের বাইরে খুন হবে না তো?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলবে গণনা। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। ফলাফল ঘোষণার আগেই বিজয় উৎসবের বার্তা দিয়ে রেখেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নজর রেখেছেন, বিরোধীদের ভোট প্রাপ্তির দিকে। নজরে থাকছে বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি নাকি বর্তমান বিধানসভায় না থাকা পূর্বতন দুই শাসক দল কংগ্রেস ও সিপিআইএম জোট-কোন পক্ষ গ্রামাঞ্চলে নিজেদের শক্তি দেখাল।