🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Kazakhstan: রাস্তায় রুশ সেনার হুঙ্কার, দেশের বাইরে অভিযান পুতিনের

By Suparna Parui | Published: January 7, 2022, 1:35 pm
Ad Slot Below Image (728x90)

রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রবল বিদ্রোহের মুখে পতন হয়েছে কাজাখস্তান সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর আক্রাম্ত। এই অবস্থায় কাজাখ প্রেসিডেন্টের সনির্বন্ধ অনুরোধে দেশটিতে বিদ্রোহ দমনে নেমে পড়েছে রুশ সেনা।

কাজাখস্তানের রক্তাক্ত বিদ্রোহ পরিস্থিতি ক্রমে গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নিতে চলেছে। কাজাখ জনতার বিদ্রোহকে উস্কে দিতে সরকার বিরোধী গোষ্ঠীগুলি প্রবল সক্রিয়। এই মুহূর্তে কাজাখস্তান বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮ জন পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী নিহত। দুই পুলিশকর্মীর মাথা কেটে নেওয়ারও খবর দিয়েছে দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম। পুলিশের গুলিতে তিরিশ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্ট স্বয়ং ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে সেনা সাহায্য চেয়ে অনুরোধ করেন। কথা রেখেছে ক্রেমলিন। মস্কো থেকে রুশ সংবাদ মাধ্যম তাস (TASS) জানাচ্ছে, কাজাখস্তানের বিদ্রোহ অচলাবস্থা ঠিক করতে পাঠানো হয়েছে বিশেষ প্যারাট্রুপার বাহিনী।

বিবিসি জানাচ্ছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর আলমাটিতে বিক্ষোভকারী ও রুশ সেনার মধ্যে সংঘর্ষে তীব্র গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বিবিসির এক সাংবাদিক।

রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের খবর, ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। রুশ সেনার হুঙ্কার এখন কাজাখস্তানের রাজপথে।

বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন ফেলেছে রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কাজাখ জনতার মারমুখী অবস্থান ও সরকার ফেলে দেওয়ার ঘটনা। পরিস্থিতি এমনই যে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতান বা পূর্বতন আস্তানা শহরেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি। তবে দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাটিতে রক্তাক্ত পরিস্থিতি। সেখানে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

কাজখস্তানে কেন রুশ সেনার অভিযান?

পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ছিল কাজাখস্তান। সোভিয়েত পতনের পর কাজাখস্তান স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) অন্তর্ভুক্ত কাজাখস্তান।  অংশীদার দেশগুলি হলো রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুশ, তাজিকিস্তান এবং আর্মেনিয়া।

আন্তর্জাতিক মহলের বিশ্লেষণ, আমেরিকার নেতৃত্বে যেমন ন্যাটো একটি যৌথ মঞ্চ। তেমনই রাশিয়ার নেতৃত্বে সিএসটিও একটি মঞ্চ। এখানেই সাবেক সোভিয়েতের রাজ্যগুলির সমন্বয় করা হয়েছে।

কাজাখস্তানের বিদ্রোহ পরিস্থিতি রক্তাক্ত আকার নিতেই দেশটির প্রেসিডেন্ট সরাসরি সিএসটিও মঞ্চে সেনা সাহায্য চান। এর পরেই রাশিয়া তাদের প্যারাট্রুপার বাহিনী পাঠিয়েছে।

কাজাখস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে সেখানে রুশ সেনার কার্যকলাপ গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এমনই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতর। বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খোলাখুলিভাবে দেখবে সেখানে কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় কিনা। এছাড়া কোনও কাজাখ প্রতিষ্ঠান রুশ বাহিনীর দখল হয়ে যাচ্ছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles