🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Swarnim Vijay Parv: মৃত্যুর আগে শেষ ভিডিও বার্তায় কী বলেছিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত?

By Kolkata24x7 Desk | Published: December 12, 2021, 9:41 pm
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে তামিলনাড়ুর কন্নুরে (Kunnur) কপ্টার ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief of Defence Staff) বিপিন রাওয়াত। ওই দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রাওয়াতের (Bipin Rawat) একটি বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। রেকর্ড করা সেই বক্তব্যটি রবিবার শোনান হল সেনাবাহিনীর ওই অনুষ্ঠানে। এখন দেখা যাক ওই অনুষ্ঠানে (Swarnim Vijay Parv) রাওয়াত কী বার্তা রেখেছিলেন।

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে হারানোর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্বের’ (Swarnim Vijay Parbo) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল। সেই অনুষ্ঠানেই শোনা গেল বিপিন রাওয়াতের গলা। সশরীরে না থাকলেও এদিনের অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরোতে পরোতে জড়িয়েছিল রাওয়াতের উপস্থিতি। দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিনই রাওয়াতের এই বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। হায়রে নিয়তি! তখনও রাওয়াত নিজে বা অন্যরা কেউই জানতেন না যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাওয়াত অতীতে পরিণত হবেন।

রবিবার ইন্ডিয়া গেটে ‘স্বর্ণিম বিজয় পর্ব’ অনুষ্ঠানে রাওয়াতের সেই বক্তব্য শোনানো হয়। সেখানেই রাওয়াত দেশের সেনাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের বীর সেনানীদের জন্য গর্বিত। আসুন সবাই মিলে আমরা আজ বিজয় পর্ব পালন করি। স্বর্ণিম বিজয় পর্ব উপলক্ষে দেশের সাহসী যোদ্ধাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে আমরা বিজয় পর্ব পালন করছি। সেই যুদ্ধে যে সব অসীম সাহসী বীর সেনা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন আমরা তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই।”

একইসঙ্গে রাওয়াত তাঁর সেদিনের রেকর্ডিং-এ জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া গেটে ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর বিজয় উৎসব পালিত হবে। দেশের সমস্ত মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু একেই বোধহয় বলে নিয়তির পরিহাস। যিনি আমন্ত্রণ জানালেন অর্থাৎ যিনি জ্ঞগ্যের হোতা তিনি আজ নেই। তাই আজকের এই স্বর্ণিম বিজয় পর্ব দেখে মনে হল অনেকটা যেন শিবহীন জ্ঞগ্য চলছে। তবে সশরীরে না থেকেও কিন্তু রয়ে গিয়েছেন রাওয়াত। বিজয় পর্বের সূচনাতেই শোনা গেল তাঁর কণ্ঠস্বর। রাওয়াতের এই কণ্ঠস্বর পুরো অনুষ্ঠানের পরিবেশটাই পাল্টে দিয়ে গেল নিমিষে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল রাওয়াত কি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ১২ ডিসেম্বর তিনি আর ইহলোকে থাকবেন না। তাই তিনি নিজের বক্তব্য রেকর্ড করে রেখেছিলেন।

রাওয়াত যে শুধু একজন কঠিন হৃদয়ের সেনানায়ক ছিলেন তা নয়। তাঁর এই কাঠিন্যের পিছনে লুকিয়ে ছিল একটি নরম মন। রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকার সেই উত্তরাধিকার বহন করছেন তার দুই কন্যা কৃতিকা ও তারিণী। বুধবার দুর্ঘটনায় রাওয়াতের সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং। সনাক্ত না হওয়ায় এতদিন হরজিন্দরের দেহ পায়নি তাঁর পরিবার। সনাক্তকরণের পর রবিবার হরজিন্দরের দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। রবিবার দিল্লির ব্রার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় হরজিন্দরের।

এদিন শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হরজিন্দরের স্ত্রী মেনজেস অ্যাগনেসের পাশে আগাগোড়া ছিলেন রাওয়াতের দুই মেয়ে। নিজেদের শোক ও দুঃখ বুকে চেপে রেখে এদিন আগাগোড়াই হরজিন্দরের স্ত্রীর হাত ধরে ছিলেন কৃতিকা ও তারিণী। হরজিন্দরের ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে প্রীতিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এই দুই বোন। মুছে দিলেন চোখের জল। ভরসা জোগালেন, তাঁরাও পাশে আছেন। বোঝালেন অ্যাগনেস ও প্রীতি কিছুই হারাননি, বরং তাঁদের সামনে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের উঠে দাঁড়াতে হবে। হরজিন্দরের চিতার আগুন যখন দাউদাউ করে জ্বলছে তখন সব শোক ও দুঃখ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল যমুনায়। কৃতিকা ও তারিণী তাঁদের এই কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মা-বাবার প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন করছে তাঁদের দুই মেয়ে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles