ব্যর্থ হল বৈঠক, সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে নারাজ চিন
নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সীমান্তে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য রবিবার ভারত ও চিনের শীর্ষ সেনা কর্তারা ১৩ তম বৈঠকে বসেছিলেন। আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে ওই বৈঠক। কিন্তু বৈঠক শেষে কোন ফলাফলই মিলল না। সোমবার ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরানোর প্রস্তাবে রাজি নয়।
তবে এই সমস্যা সমাধানে আগামীদিনেও যে ফের আলোচনায় বসা হবে এমন কোনও কথাও বলেনি বেজিং। দীর্ঘ আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ওই বৈঠকে ভারতীয় সেনা কর্তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ও সংলগ্ন এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক প্রস্তাব দেন। কিন্তু জিনপিং সরকার ভারতের কোনও প্রস্তাবই মানতে নারাজ। এই আলোচনায় কোনো সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় সেনাবাহিনীর এই বৈঠককে ব্যর্থ বলেই মনে করছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, চিন যদি কোনও রকম আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করে তবে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। ভারত সব ধরনের সমস্যা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, চিন কেন ভারতের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতায় যেতে আপত্তি করছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, সম্প্রতি আফগানিস্থানে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাবুলে তালিবান সরকারকে সমর্থন করেছে বেজিং। চিনের মতোই তালিবানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে এই দুই দেশেরই প্রবল মতবিরোধ রয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত পাকিস্তানের বিবাদ সর্বজনবিদিত। পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও ভারতের সীমান্ত সমস্যা কম নয়।
এই পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানের একযোগে তালিবানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তালিবান জঙ্গিদের সমর্থনে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি সংগঠন আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য জঙ্গিদের মদত জোগাতে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশ হাতে হাত মিলিয়েছে। সে কারণেই চিন সীমান্ত নিয়ে ভারতের কোন শর্তই মানতে নারাজ। চিন ভাবছে ভারতকে তারা চাপে ফেলতে পারবে। তাদের এই কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করবে পাকিস্তান ও তালিবান।
আন্তর্জাতিক মহল অবশ্য পাশাপাশি এটাও বলেছে যে, চিন যদি মনে করে ভারত আগের জায়গাতেই আটকে আছে তাহলে ভুল করবে। ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডার যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। তাই অযথা ভারতের সঙ্গে লাগতে গেলে তার পরিণাম ভুগতে হবে বেজিংকে

