🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Tripura: শেখ হাসিনা সরকারের অলক্ষ্যে ভারত বিরোধী ‘জঙ্গি শিবির চলছে’ বাংলাদেশে

By Sports Desk | Published: October 3, 2021, 12:30 am
NLFT Militant camp
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। প্রতি শিবিরে ৩০ থেকে ৪০ জন জঙ্গি রয়েছে। এ কে ৪৭, গ্রেনেড ছোঁড়া, এছাড়াও আরও নাশকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এমনই চাঞ্চল্যকর বয়ান দিল ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএলএফটি (NLFT) এর আত্মসমর্পণকারী চার জঙ্গি।

আরও পড়ুন : শান্তি প্রতীক যীশু, ত্রিপুরায় BSF জওয়ান খুন করা NLFT জঙ্গিদের গলায় ক্রুশ লকেট থাকে

ধরা দেওয়া চার জঙ্গিদের নাম দোবারাম রিয়াং, শৈলেন্দ্র রিয়াং, শুভলাল ত্রিপুরা, সমপ্রল দেববর্মা। তারা জানায়, বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি, পানছড়ি এলাকায় দুর্গম বনাঞ্চলে একটার পর একটা জঙ্গি শিবির চলছে। তবে একদা রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করা এনএলএফটি এখন আর্থিক সংকটে পড়েছে। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বয়ানে তাও উঠে এসেছে।

NLFT Militant

একটি পিস্তল, একটি গ্রেনেড, একটি রাইফেল, চারটি বুলেট সহ বাংলাদেশি বেআইনি ৮০০ টাকা ত্রিপুরা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে জঙ্গিরা। তারা জানায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল। রাজ্যে তখন বিজেপি জোট সরকার চলে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঢুকে ট্রেনিং, ত্রিপুরা ফিরে আত্মসমর্পণ তিন জঙ্গির

ন্যাশনাল লিবাকেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT) এই সংগঠনটি ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ দাবিতে নাশকতার পথ নিয়েছে সেই নব্বই দশক থেকে। তবে টানা ২৫ বছর বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সংগঠনটির বিষদাঁত উপড়ে দিয়েছিলেন পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর পরাজয় হয়। আগামী নির্বাচনের আগেই ত্রিপুরায় ফের সক্রিয় হয়েছে এনএলএফটি।

NLFT Militant camp

ত্রিপুরার সংবাদ মাধ্যমের সামনে জঙ্গিরা জানায়, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে ত্রিপুরায় তারা ফিরেছে। তাদের নির্বিঘ্নে ভারতে ঢুকে পড়ায় বিএসএফের (BSF) পাহারা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একইভাবে প্রশ্ন উঠছে প্রতিবেশি দেশের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) ভূমিকা নিয়েও।

যদিও আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জানিয়েছে, সে দেশের মাটিতে কোনও ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনের ঠাঁই নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মানিক সরকার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের জমিতে সক্রিয় ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠন। এর পরেই ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে।

মায়ানমার, ভারত ও বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ভারতের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চলে।এই এলাকাটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানে সক্রিয় সেদেশের কিছু পার্বত্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সম্প্রতি ত্রিপুরার লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তরেখার কাছেই এনএলএফটি জঙ্গিদের সঙ্গে বিএসএফের গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই বিএসএফ জওয়ান মারা যান।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles