🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Omicron: আতঙ্কের কিছু নেই, ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

By Suparna Parui | Published: January 4, 2022, 2:49 pm
Ad Slot Below Image (728x90)

সম্প্রতি গোটা বিশ্বকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্ক। এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস কি ডেল্টার মত, নাকি তার থেকেও ভয়ঙ্কর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের কাছে এখনও ওমিক্রনের চরিত্র স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবার ওমিক্রন নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করলেন ইজরায়েলের চিকিৎসক আফসাইন এমরানি।

ইজরায়েলের এই বিখ্যাত চিকিৎসক ওমিক্রন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তা মানুষকে ভরসা জোগাতে পারে। বলা যেতে পারে ওমিক্রন কোনও আতঙ্ক বা সঙ্কটের কারণ নয় বরং ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে চলেছে।

চিকিৎসক এমরানির দাবি, ওমিক্রন হল একটি প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও সংস্থাই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেনি। ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয় না। এমনকী, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন হয় খুব কম। বরং ওমিক্রন মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে পারে গণপ্রতিরোধ ক্ষমতা।

এমরানির দাবি, আগামী ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের মাধ্যমে গোটা বিশ্বেই টিকাকরণ হয়ে যাবে। তাই ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং প্রকৃতির কাছে মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। ওমিক্রন নামে এই ভাইরাস মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ নয় বরং আশীর্বাদ।

ইজরায়েলের এই বিশিষ্ট চিকিৎসকের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বহু চিকিৎসকও সহমত পোষণ করেছেন। তাঁরা বলছেন ডেল্টা প্রজাতির ছিল ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত সাধারণ উপসর্গ থাকছে।

তবে শুধু ভারতীয় চিকিৎসকরা নন একই কথা বলছেন বিদেশের চিকিৎসকরাও। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের দাবি, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত উপসর্গ থাকছে। আক্রান্তদের কারও শারীরিক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে যায়নি। তবে সকল এটাও স্বীকার করেছেন যে, ওমিক্রন অন্য প্রজাতিরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু ভয়ঙ্করতার দিক থেকে দেখতে গেলে ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম।

কলকাতার বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। তাই আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় গেলেই বোঝা যাবে ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কিনা। যদি অক্সিজেনের পরিমাণ না কমে তাহলে এটা বলা যেতেই পারে যে, আগামী দিনে ওমিক্রনের মাধ্যমে অনেকেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কারণ ওমিক্রনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ফলে একটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles