স্কুলে দুষ্টুমি করায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে তালিবানি শাস্তি দিলেন প্রধান শিক্ষক
News Desk, New Delhi: দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সোনু যাদব। বয়স মাত্র বছর ছয়। স্কুলে এসে বদমায়েশি করছিল সে। যে কারণে সবক শেখাতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রকে তালিবানি কায়দায় দোতলার বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে রেখে শাস্তি দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বকর্মা।
ইতিমধ্যেই শাস্তি দেওয়ার ওই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই নেটিজেনরা প্রধান শিক্ষকের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায়।
জানা গিয়েছে মির্জাপুরের অহরাউড়া এলাকার সদ্ভাবনা শিক্ষণ সংস্থান জুনিয়র হাই স্কুলের ছাত্র সোনু। বেসরকারি এই স্কুলে প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও করোনা বিধি মেনে চলছিল ক্লাস। টিফিনের সময় সোনু তার সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টমি করতে থাকে। প্রধান শিক্ষক নিষেধ করলেও সে কোনও কথা শোনেনি। প্রধান শিক্ষক সোনুকে কয়েকবার দুষ্টমি বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু অতটুকু বাচ্চা প্রধান শিক্ষকের সেই কথায় খুব একটা পাত্তা দেয়নি।

এরপরই ওই দুধের শিশুকে সবক শেখাতে প্রধান শিক্ষক মনোজ সোনুর এক পা ধরে তাকে হিড়হিড় করে ঘর থেকে বারান্দায় টেনে আনেন। এরপর দোতালার বারান্দা থেকে সোনুকে এক পা ধরে নিচে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এই তালিবানি কায়দায় শাস্তি দেওয়া দেখতে বহু লোক জড়ো হয়ে যায়। ছাত্ররাও সে সময় ছুটে আসেন বারান্দায়। এ ঘটনায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
প্রধান শিক্ষকের হাতে ঝুলন্ত অবস্থায় তীব্র চিৎকার করতে থাকে সোনু। প্রধান শিক্ষককে বারবার বলতে থাকে সে আর কখনও বদমায়েশি করবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষক সোনুকে বেশ কিছুক্ষণ দোতলা থেকে ঝুলিয়ে রাখেন। পথচলতি অনেকেই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করেন। পরবর্তীকালে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
নেটিজেন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসে মির্জাপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লক্সর এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসকের নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও প্রবল আতঙ্কে ভুগছে সোনু। সোনুর মা-বাবা ও স্কুলের অন্যান্য অভিভাবকরাও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

