🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Bangladesh: মণ্ডপে হামলার কারণ খুঁজছে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

By Business Desk | Published: October 17, 2021, 2:23 pm
Bangladesh Puja Udjapan Parishad
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে দুর্গাপূজা মণ্ডপে পরপর হামলা, খুন,পুলিশের গুলি চালনা সবমিলে পরিস্থিতি তীব্র বিতর্কিত। সরকার কেন নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেও কিছু ব্যবস্থা করেনি এই অভিযোগ বড় করে উঠে আসছে। প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানালেন ‘কোনও কারণ ছাড়া পূজামণ্ডপ গুলোতে অস্থিরতা হয়নি। এর পেছনে নিশ্চয় কোনও কারণ আছে’।

রবিবার ঢাকায় আসাদুজ্জামান খান জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দুর্গাপূজায় হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ছে কিনা,সেটাও তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে কুমিল্লার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রকৃত দোষীদেরও খুঁজে বের করা হবে।

দুর্গাপূজা প্যান্ডেল ও মন্দিরে হামলার মামলায় এজাহারে ৮৪ জনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশে আসন্ন নভেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের জেরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ভোট হবে হাজারের বেশি কেন্দ্রে। ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের অভিযোগ, দেশ ও সরকারকে হেয় করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কিছু গোষ্ঠী। অনেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতার সরাসরি দাবি, এভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে বিএনপি ও জামাত ইসলামির প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির দাবি, দেশে অরাজক পরিস্থিতি চলছে। তবে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সবকিছু থেকে দূরত্ব রেখেছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লায়। স্থানীয় একটি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার ভিডিও থেকে উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়। এরপর হামলা চলে। পরপর পূজামণ্ডপ ভাঙা হয়। পুলিশ গুলি চালালে কয়েকজন জখম হয়। সেই ভিডিও থেকে চাঁদপুর জেলায় শুরু হয় মন্দিরে হামলা। পুলিশ গুলি চালায়। সংঘর্ষে মারা যায় কয়েকজন হামলাকারী। এর রেশ ধরে নোয়াখালীতে হামলা চলে। মৃত্যু হয় এক পূজারী ও আরও দুজনের। চট্টগ্রামের একাধিক মণ্ডপে হামলা হয়। কয়েকজন ধর্ষিত হন বলে অভিযোগ। হামলা হয়েছে ইসকন মন্দিরেও। প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের স্থানীয় শাখা। বিবিসি জানাচ্ছে, এই সমাবেশে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles