🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Suspension of 12 Rajya Sabha MPs: বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বললেন সোনিয়া

By Kolkata24x7 Desk | Published: December 8, 2021, 3:15 pm
Sonia Gandhi
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনে হই হট্টগোল করার কারণে রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সাংসদকে চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে বহিষ্কার (Suspension of 12 Rajya Sabha MPs) করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বেঙ্কাইয়ার এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের আলাপ-আলোচনা চলছে। সেই আলোচনার জেরে কৃষকরা সম্ভবত তাঁদের আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন এমন ইঙ্গিতও মিলেছে। কিন্তু কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে কংগ্রেস।

বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘ আলোচনা করেন। সেখানেই সোনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে যে ৭০০ জন কৃষক শহিদ হয়েছেন সরকারকে তাঁদের উপযুক্ত সন্মান দিতে হবে। মৃত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য করতে হবে। দলীয় সাংসদদের ওই বৈঠকে সোনিয়া বলেন, রাজ্যসভার সাংসদদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক।

ইতিমধ্যেই নতুন কৃষি আইন বাতিল হওয়ায় তার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই চলতি অধিবেশনে বিজেপি সরকারকে কোন কোন ইস্যুতে আক্রমণ করা হবে তা স্থির করতেই বুধবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠক বসে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, মল্লিকার্জুন খাড়্গের মত শীর্ষ নেতারা। রাজ্যসভার সাংসদের বহিষ্কারের দায় মল্লিকার্জুন সরকারের ঘাড়েই চাপিয়ে।

তিনি বলেছেন, বিরোধী দল হিসেবে আমরা সর্বদাই সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে চলেছি। কিন্তু সরকার বিরোধীদের কোনও কথাই শুনতে রাজি নয়। অন্যদিকে ভেঙ্কাইয়া নায়ডু জানিয়েছেন, বিরোধী সাংসদরা ক্ষমা চাইলে তিনি তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেবেন। এই বক্তব্যকেও উড়িয়ে দিয়েছেন মল্লিকার্জুন। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ সাংসদরা প্রতিবাদ জানিয়ে কোনও অন্যায় করেননি। অন্যায় করেছে সরকার।

একই সঙ্গে এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন তাঁরা নাগাল্যান্ডের ঘটনা এবং পেট্রোল-ডিজেল-সহ প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধির মত একাধিক বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চান। কিন্তু সরকার আলোচনার কোনও সুযোগই দিচ্ছে না। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, মোদি সরকার সংসদ চালাতে চায় না। তাই বিরোধীদের দেখলেই তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই সাংসদদের সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এটা অসাংবিধানিক বিষয়। একই সঙ্গে এ দিনের বৈঠকে সোনিয়া জানান, ইডি ও সিবিআই কর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেরও তাঁরা বিরোধিতা করবেন।

সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করছেন এই নিয়ম বদলের ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণভার সম্পূর্ণভাবে মোদি সরকারের হাতেই থাকবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হলে কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা কৃষক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে একটি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন। এছাড়াও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles