🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

মাথা কাটার তালিবানি ফরমান জারির শঙ্কায় আফগানিরা

By Political Desk | Published: August 25, 2021, 9:45 am
Kabul violation against women
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: কাবুল দখল নেওয়ার দশ দিনের মাথায় ঘোষিত অবস্থানের উল্টো পথেই হাঁটছে তালিবান। আফগান মহিলাদের ঘরেই থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও গত ১৫ আগস্ট কাবুলে বিখ্যাত সাাংবাদিক সম্মেলনে পরিশীলিত ভাবমূর্তির যে ছবি তুলে ধরার কথা বলেছিল তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ, তাতে মহিলাদের কর্মস্থলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়।

প্রথমে ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা, এখন মহিলাদের কর্মস্থলে না যাওয়ার ফরমান-এরপর কী মাথা কাটার ফতোয়া? আফগানিস্তানের মহিলাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিস্তর। কারণ এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান সরকারের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছেন আফগানবাসী।

Kabul violation against women

বিবিসি জানাচ্ছে, তালিবান মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আফগানিস্তানে কর্মরত নারীদের তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে হবে। মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এটি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য একটি প্রক্রিয়া। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই নির্দেশের পরেই আসতে চলেছে কড়া শরিয়া আইনের অন্তর্গত মাথা কাটার ফরমান।

তালিবান স্পষ্ট জানিয়েছে আফগানিস্তানে শরিয়া আইন জারি চলবে। কড়া ধর্মীয় এই নিয়মকানুনে মহিলাদের জন্য ভয়ঙ্কর সব নিদান রয়েছে। এর একটু ভুল হলেই প্রকাশ্যে নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পেতে হয়। আর সময বিশেষে সেই শাস্তি হয় মাথা কেটে নেওয়া।

২০০১ সালের আগে তালিবান যখন আফগানিস্তান শাসন করত, তখন তারা কঠোর শরিয়া আইন জারি করেছিল। বিবিসি জানাচ্ছেন আফগানবাসীরা মেনেই নিতে পারছেন না আফগানিস্তানের পূর্ণ ক্ষমতা নেওয়ার পরেই তালিবান যে নরম মনোভাবের ছবি তুলে ধরার কথা বলছে তা কতটা পূরণ হবে।

জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছে, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই যে কীভাবে নারীদের সাথে আচরণ করতে হয় বা তাদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়। পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি।

তবে বিভিন্ন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেটের আশঙ্কা, তিনি খবর পেয়েছেন তালিবানরা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া শুরু করেছে।

আগামী ৩১ আগস্ট লাল তারিখ। তার মধ্যেই সম্পূর্ণ মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। যদিও এই সেনা এখন কাবুল বিমান বন্দরে অবস্থান করছে। তারাই কাবুল থেকে উদ্ধারকারী বিমানগুলির তদারকিতে। আর কাবুল বিমান বন্দরের বাইরের ফটকে তালিবান পাহারা।

ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং জার্মানির তরফে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ত্যাগের জন্য বেঁধে দেয়া ৩১শে আগস্টের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। তবে তালিবান কোনওভাবেই এই আবেদন মানবে না বলে জানায়।

বিবিসি জানাচ্ছে, মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখান থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ৭০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles