Punjab: পঞ্জাবের উন্নয়নের জন্য কংগ্রেসের সামনে এটাই শেষ সুযোগ, দাবি সিধুর
নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাবে কংগ্রেসের ঝামেলা কমার এখনও কোনও লক্ষ্মণই দেখা যাচ্ছে না। পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে আবার নাটকীয় উপায়ে পদত্যাগ ফিরিয়ে নিয়ে নভজোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলেন। এ জন্য সিধু সোনিয়াকে একটি চিঠিও লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি মন্ত্রিসভায় নতুন কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা-সহ ১৩ দফা দাবি পেশ করেছেন।
সিধু ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। রাহুলের সঙ্গে দেখা করার পর সিধু বলেছিলেন, সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
পঞ্জাবের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তুোষ প্রকাশ করে সিধু পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। যাই হোক, চান্নি এবং অন্যান্য নেতাদের আবেদনে তিনি সভাপতি পদে থাকতে রাজি হন। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এর সঙ্গে সিধুর মতবিরোধ সুপরিচিত। সিধুর অনুগামী বিধায়কদের চাপেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়েছিল অমরিন্দরকে।
এদিকে সিধুর উপদেষ্টা এবং প্রাক্তন আইপিএস মহম্মদ মোস্তফার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বলেছেন, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং তাঁকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। রাজিয়া সুলতানা চান্নি সরকারের একজন মন্ত্রী।
সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে সিধু বলেছেন, কংগ্রেস দল ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। কংগ্রেস সে সময় জনগণের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সিধুর দাবি, তিনি যে ৫৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন, তার মধ্যে কংগ্রেস ৫৩ টিতে জয়লাভ করেছিল।
সিধু উল্লেখ করেছেন, তিনি বিধায়ক, পঞ্জাব মন্ত্রিসভার মন্ত্রী এবং পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন রাজ্যের উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সিধু তাঁর চিঠিতে আরও লিখেছেন, ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক সেবা করার পর তিনি জনসাধারণের অনুভূতিগুলি সহজেই বুঝতে পারেন। তাই তিনি অনুভব করছেন যে পঞ্জাবের পুনরুজ্জীবনের জন্য কংগ্রেসের সামনে এটাই শেষ সুযোগ।

