🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

TMC: বিকল্প শক্তি নেই, বেরোজগারির রাজ্যে মমতা নিশ্চিন্ত

By Suparna Parui | Published: January 4, 2022, 7:27 pm
bengal unemployment
Ad Slot Below Image (728x90)

বিধানসভা জয়ের হ্যাটট্রিক। বিজেপির দুর্দান্ত জয়রথকে রুখে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। জাতীয় স্তরে দাঁত ফোঁটানোর প্রয়াস। কোন পথে তৃণমূল? নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের মধ্যগগনে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের ক্ষমতায়। তারও আগে ব্রিগেডে বাজিয়েছিলেন বামেদের মৃত্যু ঘন্টা। অনেকের চোখের সামনে এখনও ভাসছে সে’দিনের স্মৃতি। শব্দও শুনতে পাচ্ছেন কি?

‘কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী’, এই শব্দযুগল বহুবার লেখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কল্পতরু হয়ে তিনি দিয়েছেন কী কী? নিঃসন্দেহে উনি বা ওনার দল সাধারণ মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছেন। শহরে, গ্রামের রাস্তাঘাটে চোখ ফেরালে অনেক পোস্টার-হোডিং চোখে পড়ে সকলের। সুবজ সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী… আরও কতো কী!

শুধুই কি দেওয়া? দাঁড়িপাল্লার কনসেপ্টাই বিগড়ে যাবে তাহলে৷ বিগত কয়েক বছরে যা গিয়েছে তা দৃশ্যমান নয়- মানুষের কর্মদ্যোগ। মাসে মাসে কিছু টাকা ঢুকছে তথাকথিত গরীব, মধ্যবিত্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। শ্রমের বিনিময়ে আগে যে টাকা রোজকার করা হতো এখন সেই টাকা মিলছে ঘরে বসে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য খাটনি বা শ্রমের পরিমাণ কমছে ধীরেধীরে। তৃণমূল সরকার চিরকাল থাকবে এমনটা আশা করা যায় না। আগামী দিনে অন্য কোনও দল ক্ষমতায় আসতেই পারে। তারাও কি বজায় রাখবে একই ভর্তুকি নীতি? শ্রম এমন একটা বিষয় যা একজন মানুষের সম্পদ। সেই সম্পদেই যদি ধুলো জমে তাহলে প্রয়োজনে তা আর কাজে লাগবে কি?

আত্মসমান বোধেও লাগতে পারে কারও। সবাই কিন্তু ৫ টাকার ডিম-ভাতের লাইনে দাঁড়ান না। শ্রমিকদের অনেকেই এখনও দুপুরের ভাত খান কোনও হোটেলে। হয়তো সেই ডিম-ভাতই খাচ্ছেন। কিন্তু লাইনে দাঁড়াচ্ছেন না। কাজের বিনিময়ে সম্মানিক। আমজনতার অধিকাংশের ইউএসপি এটা। কিন্তু কাজ কোথায়? ছাঁটাইয়ের খবর, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে বিস্তর। কিন্তু নতুন কারখানা হয়েছে কিংবা বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে এমন উদাহরণ ক’টা? যে সিঙ্গুর আন্দোলনের হাত ধরে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছিল, সেই আন্দোলনই এখন প্রশ্নের মুখে। দলের অন্দরেও দ্বিধা। চাকরির অভাবে ছেলে-মেয়েরা চলে যাচ্ছেন রাজ্যের বাইরে।

সম্প্রতি মমতা দাবি করেছেন তিনিও বাম ঘেঁষা। সম্প্রতি মঞ্চে উচ্চারণ করেছেন হিন্দু দেব-দেবীর নাম। গ্রামের মেয়েটির ইমেজের পাশাপাশি তিনিও আঁকেন ছবি, লেখেন কবিতা-গান। অর্থাৎ অলরাউন্ডার। মাঠে শব্দ যখন ব্যবহার করাই হল তখন এবার ‘খেলা’র প্রসঙ্গ। একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের মতোই তিনি জিতিয়েছেন নিজের দলকে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, তিনি না, আদপে জিতিয়েছে মানুষে। কারণ বাংলার মানুষ এখনও বিজেপিকে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। রাজ্যে আপাতত বিকল্প কোনও শক্তি নেই, তাই তৃণমূলের পক্ষে গরিষ্ঠ মত।

জেলা স্তরে বা গ্রামের দিকে পার্টির সমর্থকরা এখনও মেনে নিতে পারছেন না নেত্রীর ফেজ টুপি পরার ছবি। ইমাম ভাতাও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছি একাংশের মনে। প্রাক-নির্বাচনী ভাষণে হিন্দি ব্যবহার হয়েছে নিয়মিত। ‘কেন অবাঙালী তোষণ?’ এই প্রশ্নও কি ওঠেনি আগে? যে মানুষ রাজ্যের বাইরে যাননি, তিনি লন্ডন-প্যারিস চেনন না৷ তিনি শুধু চেনেন নিজের পরিবার, নিজের এলাকাকে। জিনিসের দাম বাড়ছে, চাকরি কমছে, হাত পড়ছে মাথায়। এখনও বৃষ্টি হলে ভাঙছে বাঁধ, ঘরে ঢুকছে জল। মানুষ এবার করবেটা কী?

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles