🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

দীপাবলির পরেই ভয়াবহ দূষণের কবলে রাজধানী, বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে দিল্লিবাসী

By Sports Desk | Published: November 5, 2021, 5:03 pm
Delhi air quality dips to very poor
Ad Slot Below Image (728x90)

News Desk: বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা ছিল। আদালত নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু সব ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতভর দিল্লিতে (delhi)পুড়েছে বাজি। সব বাজিই যে পরিবেশবান্ধব ছিল এমনটাও নয়। মাত্রাছাড়া বাজি পোড়ানোর ফলও মিলল হাতেনাতে।

শুক্রবার ভোর থেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে মানুষ। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর থেকেই দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। গোটা দিল্লির আকাশ ঢেকেছে ধোঁয়ায়। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ গলার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেরই চোখ ও নাক থেকে জল বের হওয়ার সমস্যা শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে কাশি।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ। কিন্তু দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই শুরু হয় কানফাটানো শব্দে বাজি ফাটানো। এলাকার অনেক অসুস্থ ও প্রবীণ মানুষ ভয়ঙ্কর আওয়াজে অসুস্থ বোধ করেন। যারা বাজি পোড়াচ্ছিলেন তাঁদেরকে এ ব্যাপারে বলা হলেও তাঁরা কোনও কথায় কর্ণপাত করেননি। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা (noida), হরিয়ানার গুরুগ্রাম (gurugram) এবং ফরিদাবাদ (faridabad) থেকেও অত্যন্ত জোরাল শব্দের বাজি পোড়ানোর খবর এসেছে। এসবের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দিল্লির বাতাসের গুণমান খারাপ হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে তা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পৌঁছয়।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাজি পোড়ানোর কারণে শুক্রবার রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটারের মত কমে আসে। সকাল ১০টা পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ছিল ঘন কুয়াশা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটা কুয়াশা নয়, বাজির বিষাক্ত ধোঁয়া। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, শুক্রবার রাত ৩ টে নাগাদ বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে হয়েছে ৭৭৪.৬৯। যা নির্ধারিত বিপদসীমার থেকে অনেক বেশি। রাত একটায নাগাদ এই সূচকটি পৌঁছে গিয়েছিল এক হাজারের উপরে।

ভয়াবহ দূষণের কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লির বাসিন্দারা অনেকেই শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথায় ভুগতে থাকেন। কারও কারও আবার নাক ও চোখ দিয়ে জল বের হতে শুরু করে। অনেকেরই চোখ লাল হয়ে যায়। সঙ্গে ছিল প্রবল কাশি। শারীরিক সমস্যায় ভয় পেয়ে গিয়ে অনেকেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে দৌড়ন। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে বলা যায়, করোনা এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না দিল্লির বাসিন্দারা। সচেতনতার অভাবেই তাঁরা নিজেদেরকে ফেলে দিলেন চরম দূষণের চক্রব্যূহে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কালীপুজো ও দীপাবলীর কারণে আগামী তিনদিন দিল্লির বায়ুদূষণও মাত্রাছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles