🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

কালীঘাটের আমন্ত্রণে কলকাতায় সুদীপ বর্মণ, আগরতলায় বিজেপি মহলে ধস আতঙ্ক

By Political Desk | Published: August 27, 2021, 9:32 pm
Mamata has little scope in N-E beyond Tripura
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: আবারও কি ২০১৮ সালের ঠিক আগের অবস্থা ফিরতে চলেছে আগরতলায় ? ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক-ধস আতঙ্ক। নেতৃত্ব বিধায়কদের বড় অংশ ফের তৃ়ণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন এমনই গুঞ্জন। কারণ, ত্রিপুরার তাবড় নেতা সুদীপ রায় বর্মণ এখন কালীঘাটের আমন্ত্রণে কলকাতায়।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে গত বিধানসভা ভোটের আগে রাতারাতি বিরোধী আসন থেকে মুছে গেছিল কংগ্রেস। কয়েকদিনের জন্য তৃ়নমূল কংগ্রেসের ঘরে বিরোধী দলের তকমা জুটেছিল। সবই হয়েছিল ‘ত্রিপুরার মুকুল রায়’ বলে সুপরিচিত নেতা সুদীপ রায় বর্মণের রাজনৈতিক ছকে।

পরে গুরু মুকুল রায়ের পরামর্শে সুদীপবাবু তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যান। ত্রিপুরায় পালাবদল হয়। বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরের সরকার পড়ে যায়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি আইপিএফটি জোট। এর পরেই সরকারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সংঘাত শুরু সূদীপ বর্মণের।  সংঘাত তীব্র হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পারেননি সামাল দিতে। বিপ্লববাবু ও সুদীপবাবুর মধ্যে কথাবার্তা আগেই বন্ধ। দুজনেই পরস্পরকে এড়িয়ে চলেন।

রাজনৈতিক মোড় ঘুরতে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে পরপর তিনবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে থেকে যাওয়ায়। বিজেপি ত্যাগ করে মুকুল রায় ফিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে। সেই ধাক্কা গিয়ে লাগে ত্রিপুরায়। মুকুল শিষ্য সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপি ত্যাগ না করলেও দলের কোনও বিষয়েই নেই। তিনি এখন কলকাতায়।

সিপিআইএমের টানা দু দশকের জমানায় আগরতলার রাজনীতিতে বরাবর প্রভাব রাখা সুদীপ রায় বর্মণ ফের কলকাতায় অবস্থান করছেন কেন? তৃ়নমূল কংগ্রেস নীরব। তবে প্রদেশ বিজেপি ধরেই নিচ্ছে তিনি ফের শিবির পাল্টাবেন। কতজন বিধায়ক যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে? এই প্রশ্ন এখন আগরতলায় সর্বত্র। এমনকি পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিরোধী দল সিপিআইএম। তাদের রাজ্য দফতর দশরথ দেব ভবনেও চাপা আলোচনা-‘সুদীপ বর্মণ ফের ছক করেছে’।

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন যে কোনও সময়ে ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার ফেলে দিতে পারি। তবে নির্বাচিত সরকার পূর্ণ মেয়াদ থাকুক এটা চাই।

এর পর ত্রিপুরায় ক্রমে বাড়ছে টিএমসির রাজনৈতিক কার্যকলাপ। দলটির দখলে এই রাজ্যে ০.৩ শতাংশ ভোট। সেখান থেকে উঠে আসা এবং সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণায় যে সুদীপবাবুর ‘ছক’ আছে তা স্পষ্ট বিজেপির কাছে।পূর্বতন বিরোধী দল কংগ্রেস বিধানসভায় এখন শূন্য। তবে কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক পেতে মরিয়া টিএমসি। কালীঘাটের আমন্ত্রণে অনেক কিছুই হবে। সেই রাতারাতি সবকিছু পাল্টে যাওয়া? আগরতলায় ধসের আতঙ্ক বিজেপি মহলে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles