🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

গৃহবন্দি করল ইউপি পুলিশ, জলসমাধিতে যাওয়া হল না ধর্মগুরুর

By Sports Desk | Published: October 3, 2021, 12:51 pm
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২ অক্টোবরের আগে ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে জল সমাধির মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। এবং এই ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রকে মাত্র ৩ দিন সময় দিয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন মমতাতেই ভরসা সরকারি কর্মীদের, পোস্টাল ব্যালটে বাজিমাত শাসকদলের

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, “২ অক্টোবরের মধ্য ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা না হলে আমি সরযূ নদীতে জল সমাধি গ্রহণ করে মৃত্যুবরণ করব।” শুধু হিন্দু রাষ্ট্রই নয়, তাঁর কোপে পড়েছে আরও দুই সম্প্রদায়ও। মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি।

তাঁর কথামতো ঘোষণা না হলে গান্ধীজয়ন্তীর দিনেই সরযূ নদীতে জলসমাধির হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে আচার্য মহারাজের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। সরকারের তরফে তাঁর উদ্যোগ আটকাতে তাঁকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার। যদিও নিজের প্রতিজ্ঞা রেখেছেন তিনি। গৃহবন্দি অবস্থায় বাড়ির মধ্যেই বোতলবন্দি সরযূর জলে নাক অবধি ডুবিয়ে প্রতীকী প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেন আচার্য মহারাজ। 

দিনকয়েক আগেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত জানিয়েছিলেন, “দেশের হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক। প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকই হিন্দু। ইসলাম ধর্ম এসেছিল আক্রমণকারীদের সঙ্গে। হিন্দুরা কারও সঙ্গে শত্রুতা করে না। সকলের ভাল চায়। এখানে ভিন্নমতের অনাদর হয় না।” ‘রাষ্ট্র প্রথম-রাষ্ট্র সর্বোপরি’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হুসেনের মতো বিশিষ্ট মানুষেরা। যদিও তারা জানিয়েছিলেন, বিভেদ নয়, দেশের মানুষদের ঐক্যকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন সংঘ প্রধান। 

আরও পড়ুন দুর্গাপূজা পালনে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে তিন কোটি অনুদান শেখ হাসিনার

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান।”শুধু হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, ভারতীয় সংস্কৃতিতে সব ধর্মকে সমান হিসাবে গণ্য করা হয়। এই কারণে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৪২ নং সংশোধনীতেও একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। দেশকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় আখ্যা দিয়ে এই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কেই বদলাতে চেয়েছিলেন জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ। 

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles