🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Uttar Pradesh: মাদক খাইয়ে ১৭ ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ, অভিযুক্ত দুই স্কুলের ম্যানেজার

By Kolkata24x7 Desk | Published: December 7, 2021, 4:26 pm
Uttar Pradesh
Ad Slot Below Image (728x90)

News Desk, Delhi: সিবিএসই প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার (practical exam) জন্য প্রশিক্ষণের নাম করে ১৭ জন দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ডাকা হয়েছিল স্কুলে। সেখানেই ওই ছাত্রীদের মাদক খাইয়ে যৌন নিগ্রহ চালানোর (molestation) অভিযোগ উঠেছে। ১৫ দিন আগে অভিযোগ জানানোর পরেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার (arrest) করা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগরে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য ১৭ নভেম্বর রাতে ছাত্রীদের ডেকে পাঠানো হয়। ১৭ জন ছাত্রী নির্দিষ্ট সময়মতোই স্কুলে আসে। এরপর তাদের খেতে দেওয়া হয়। ওই খাবারের মধ্যে মাদক মেশানো ছিল। মাদক মেশান খাবার খেয়ে তারা অচেতন হয়ে পড়লে তাদের উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয়। এই যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যে স্কুল ওই ছাত্রীদের ডেকেছিল সেখানকার ম্যানেজার এবং যে স্কুলে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয়েছিল সেখানকার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাঁদের দায়ের করা এফআইআর-এ জানিয়েছেন, গার্লস স্কুলের ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছিলেন, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেয়েদের অন্য স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। ছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও ছাত্রদেরকে সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি।

ওই ১৭ জন ছাত্রী ১৮ নভেম্বর সকালে বাড়ি ফিরে এসে মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। ওই ছাত্রীরা সকলেই খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। সে কারণেই স্কুলে তাদের বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

নিগৃহীত দুই ছাত্রীর বাবা এলাকার বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ উতওয়ালের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনার জেরে স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপসারিত অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের কর্তারা ওই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।

বিধায়ক প্রমোদ জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন শিগগিরই এই ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। তিনি নিজে জেলা পুলিশ সুপারকে এই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ছাত্রীরা যৌন নিগ্রহের যে অভিযোগ করেছে তা ঠিক । বিধায়ক আরও জানান, অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ছাত্রীদের পরিবারকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিল। এমনকী, স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ দেখাননি। আমরা চাই অভিযুক্ত শিক্ষকরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।

ছাত্রীদের উপর যৌন নিগ্রহের তদন্ত করছেন মুজফফরনগরের পুলিশ সুপার অর্পিত বিজয়বর্গীয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে বিষ্ণোই। সংশ্লিষ্ট থানার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বলেছেন, ছাত্রীদের উপর যারা যৌন নিগ্রহ করেছে তারা কেউই পার পাবে না। অপরাধীরা গর্তে লুকিয়ে থাকলেও আমরা সেখান থেকে তাদের বের করে আনব। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles