🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Bangladeh 50: পাকিস্তানের আতঙ্ক কিংবদন্তি গেরিলা বাঘা সিদ্দিকী দিলেন সরস্বতী পুজোর চাঁদা

By Kolkata24x7 Desk | Published: December 16, 2021, 12:13 am
Bagha-Siddique
Ad Slot Below Image (728x90)

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: নাম তাঁর ‘টাইগার’। দুনিয়া জুড়ে যত গেরিলা যুদ্ধের কাহিনী আছে তার অন্যতম এক তারকা। এহেন অকুতোভয় টাইগার ওরফে বাঘা সিদ্দিকী তাঁর বাহিনী পাকিস্তানি সেনার কাছে আতঙ্কের কারণ ছিলেন। পাক সেনা হোক বা কমান্ডাররা মনে প্রাণে চাইত যদি আত্মসমর্পণ করতেই হয় তাহলে টাইগারের কাছে নয়, এর চেয়ে ভারতীয় সেনা অনেক ভালো। অন্তত তারা যুদ্ধবন্দি আইনে মেরে ফেলবে না। মুক্তিযোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর হাতে পড়লে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হবে। তাঁর এই ভয়াবহ রূপ বিশ্বজুড়ে আলোচিত। যেভাবে তিনি পাক সেনাদের মারতেন সেই ছবি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন ফেলেছিল।

গেরিলা কমান্ডার বাঘা সিদ্দিকীর আসল নাম আবদুল কাদের সিদ্দিকী। বাঘের মতো হিংস্র হামলায় পটু তাই নাম হয় ‘বাঘা’। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষে এই প্রতিবেদনে বাঘা সিদ্দিকীর একটি বিরল মুহূর্ত তুলে ধরা হলো।

Tiger-siddique

বাঁ-দিকে মুক্তিযুদ্ধে ভয়ঙ্কর রূপ, ডানদিকে বর্ধমানের শ্রীপল্লীর বাড়িতে টাইগার

ফিরে যাওয়া যাক মুক্তিযুদ্ধের সময়ে:
৫০ বছর আগের কথা। তখন পূর্ব পাকিস্তানে চলছিল পাক শাসন থেকে মুক্তির সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনীর একটি সমান্তরাল গেরিলা দল ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। ১৯৭১ সালের এই মুক্তিযুদ্ধে বাঘা সিদ্দিকীর বাহিনী পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে প্রত্যাঘাত শুরু করে। টাঙ্গাইল থেকে শুরু হয়েছিল সেই হামলা। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় প্রথম ভারতীয় সেনার তৎকালীন মেজর জেনারেল গন্ধর্ব সিং নাগরার পাশাপাশি বাঘা সিদ্দিকী তাঁর বাহিনী নিয়ে ঢুকেছিলেন। বাংলাদেশ তৈরির পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন। উপাধি পান ‘বঙ্গবীর’।

এই বাড়িতে থাকতেন বাঘা সিদ্দিকী। ছবি: আব্দুস সবুর।

এহেন বাঘা সিদ্দিকীকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সেনা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের পর প্রত্যাঘাতের সুযোগে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন বাঘা সিদ্দিকী। ১৯৭৫-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই প্রবাস পর্বের দীর্ঘ সময় কেটেছিল বর্ধমান শহরে। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমান।

এক বিরল মুহূর্তের বাঘা সিদ্দিকী:
বর্ধমানের অতি পরিচিত সাংবাদিক আব্দুস সবুর। তিনি শহরের ‘নতুন চিঠি’ সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত। আব্দুস সবুর তখন তরুন। তিনি বলেছেন, একদিন ক্লাবের সবাই মিলে সরস্বতী পুজোর চাঁদা তুলতে বেরিয়েছি। সদরঘাট রোডের পৌরসভা কসাইখানার কাছে যে বাড়িতে বাঘা সিদ্দিকী থাকতেন সেখানে গেলাম। উনি আমাদের দেখে বেরিয়ে এলেন। আমি বললাম ক্লাবের সরস্বতী পুজো কিছু চাঁদা দিন। উনি বললেন, কেন দেব না। বলেই দু টাকা দিলেন। তখনকার দিনে দু টাকা মানে বিরাট।

abdur-sabur

সাংবাদিক আব্দুস সবুর

সাংবাদিক আব্দুস সবুরের স্মৃতিতে আজও ভাসে কিংবদন্তি গেরিলা যোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর সেই চেহারা। তিনি বলেছেন, ছয় ফুট লম্বা, ধবধবে ফর্সা হাসি হাসি মুখ। উনি হাসতে হাসতে সরস্বতী পুজোর চাঁদা দিলেন। আমি বললাম রশিদে কী লিখব? বাঘা সিদ্দিকী বললেন, মা’য়ের পুজো তাই মা’কে দিলাম লিখে দাও।

মুক্তিযোদ্ধা বাঘা সিদ্দিকীর বর্ধমানে থাকার স্মৃতি এই শহরের বহুজনের কাছে উজ্জ্বল। তবে তাঁর এই বিরলতম মুহূর্তের গুটিকয়েক সাক্ষীর একজন সেদিনের তরুণ আজকের প্রৌঢ় আব্দুস সবুর।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তীর উপলক্ষে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক মৈত্রী সম্পর্কেরও ৫০ বছর পালিত হচ্ছে। সাংবাদিক আব্দুস সবুর চান সুসম্পর্ক আরও গাঢ় হোক।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles