Nandigram Murder case: TMC নেতা খুনের মামলায় শুভেন্দুর জামিন

News Desk: নন্দীগ্রামের নিহত (Nandigram Murder) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ মান্নার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শুভেন্দু প্রধান ও নিমাই সামন্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি…

Tmc leader Rabindranath manna murder case

News Desk: নন্দীগ্রামের নিহত (Nandigram Murder) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ মান্নার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শুভেন্দু প্রধান ও নিমাই সামন্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। মূলত, মুখ্যমন্ত্রী এই খুনের ঘটনায় সিআইডি নির্দেশ দিয়েছিলেন।

চলতি বছর ২৭ মার্চ বেলা ১২.১০ নাগাদ একটি বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল দুই তৃণমূল নেতা বিদ্যুৎ জানা ও রবীন্দ্রনাথ মান্না। সেই সময় বিজেপি সমর্থকরা ঝান্ডা ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ মান্নাকে প্রথমে তমলুক হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। গত ৯ এপ্রিল এসএসকেএমের মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথ মান্নার। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই ঘটনা ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এখনও পর্যন্ত তিনজন নিম্ন আদালতে ও দুজন কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। আবেদনকারী আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আদালতে বলেন এই দুই অভিযুক্তের এফআইআর-এ নাম নেই কিন্তু পরবর্তীকালে সিআইডি যখন চার্জশিট পেশ করে তখন এদের নাম সংযুক্ত করা হয়।

পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বত কপাল মুখোপাধ্যায় জানান, নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষক চন্ডী গাঙ্গুলী আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন পেয়েছে।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি প্রশ্ন, এই বিষয়ে জামিন খারিজের আবেদন কি রাজ্য সরকার করেছে? তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি পাবলিক প্রসিকিউটর। এরপরই আদালত জামিন মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় এই দুই অভিযুক্ত শুভেন্দু প্রধান, ও নিমাই সামন্ত বিজেপি কর্মী ছিলেন। কিন্তু তারা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ছিল না। নির্বাচনের পর তারা তৃণমূলে যোগদান করেন। বর্তমানে তারা তৃণমূল কর্মী।