‘টেগোর টপ’-এ তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বভারতী, জুলাই থেকেই শুরু পঠন-পাঠন
পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়। রাজ্যের অন্যতম পরিচিতি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার বাংলার বাইরেও গড়ে উঠবে বিশ্বভারতী।
সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ড সরকার প্রায় ৪৫ একর জমি দিচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ করার জন্য। এমনকি চলতি বছরের জুলাই থেকেই পঠন পাঠন শুরু হয়ে যাবে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ক্যাম্পাস তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ কোটি টাকার অনুদান চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১২৫ কোটি টাকা ক্যাম্পাস নির্মাণে খরচ হবে। কিছুদিনের মধ্যেই এই অনুদান চলে আসবে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সরকারি জমির অনুমোদন পাওয়া গেল। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের রামগড় গ্রামে নতুন ক্যাম্পাস তৈরির জন্য বিনা শুল্কে ৪৪.৪৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামগড়ে বসেই গীতাঞ্জলী লিখেছিলেন। সেই জায়গাটি ‘টেগোর টপ’ নামেও পরিচিত।
কর্তৃপক্ষ উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে রামগড়ের জমির জন্য আবেদন করে। শুক্রবার ওই রাজ্য চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করতে জমির অনুদানে সম্মতি দেয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২-এর জুলাইয়ের বিশ্বভারতীর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। সেইমত যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাস শুরুর প্রথম পর্যায়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর মিলিয়ে ৬৫০ পড়ুয়া ভর্তি করা হবে এবং তৈরি করা হবে পাঁচটি স্কুল। এই ক্যাম্পাসটির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

