🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

লখিমপুরের ঘটনার তদন্তকে কি আপনারা ছেলেখেলা মনে করছেন, যোগী সরকারকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

By Political Desk | Published: October 20, 2021, 5:26 pm
Lakhimpurkheri
Ad Slot Below Image (728x90)

নিউজ ডেস্ক: লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তর প্রদেশ সরকারকে ফের তীব্র ভৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। ৩ অক্টোবর লখিমপুরে ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের তদন্তে শীর্ষ আদালত যে খুশি নয় সে কথা আগেই জানিয়েছে। এবার লখিমপুরের ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিতে দেরি করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল সর্বোচ্চ আদালত। বুধবারের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে লক্ষ্য করে বলে, “দয়া করে এবার আপনারা পা ঘষে চলার অনুভূতিটা বাদ দিন।”

৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র গাড়ি চালিয়ে দেওয়ায় ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল বুধবার।

এদিন শুনানি শুরু হলে লখিমপুরের ঘটনার রিপোর্ট দেরিতে জমা দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভৎসনা করে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না বলেন, “আমরা রিপোর্টের জন্য মঙ্গলবার রাত ১টা অবধি অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনও রিপোর্টই জমা পড়েনি। আপনারা কি বিষয়টাকে ছেলেখেলা মনে করছেন। ” বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে আপনারা পা ঘষে চলছেন। দয়া করে এই মনোভাব ছাড়ুন।”

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, বুধবার এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সালভের ওই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “যদি শুনানি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে আপনারা রিপোর্ট জমা দেন, তবে আমরা ওই রিপোর্ট কীভাবে পড়ব? শুনানির অন্তত একদিন আগে রিপোর্ট জমা দেবেন, এটা তো আশা করা যায়। আমরা তো মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট চাইনি।” রিপোর্ট জমা দিয়ে আইনজীবী সালভে শুক্রবার শুনানির জন্য আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতি অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা আজই রিপোর্ট পড়বেন। ২৬ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

ওই দিন রাজ্য সরকারকে ফের একটি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, লখিমপুরের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং কী কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ওই রিপোর্টে জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, “এটা যেন কোনও অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।”

এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায়, “লখিমপুরের ঘটনায় আপনারা বলেছিলেন ১৬৪ জন সাক্ষী রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তা হলে বাকিদের সাক্ষ্য কোথায় গেল?” জবাবে আইনজীবী সালভে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। দুটি অপরাধের কারণে সমস্ত প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রথম অপরাধ হল গাড়ির ধাক্কা দিয়ে সাধারণ মানুষকে মারা। দ্বিতীয় অপরাধ হল, গাড়িতে থাকা দুইজনকে মারধর করে হত্যা করা। ঘটনাস্থলে বিপুল ভিড় থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।” সালভের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ পাল্টা বলে, “পুলিশ সাক্ষীদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে আমরা সমস্ত তথ্য জানতে পারব না। তাই এটা যেন কোনওভাবেই অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয় সে দিকে সতর্ক থাকবেন।” ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সরকারের তরফে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles