🚨 Breaking: Welcome to Kolkata24x7 — fast, modern news theme…
Leaderboard Ad (728x90)

Uttar Pradesh: ওমিক্রন উদ্বেগ, ভোট পিছানোর অনুরোধ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

By Sudipta Biswas | Published: December 24, 2021, 5:55 pm
Uttarpradesh: Omicron concerns, Allahabad court requests to withdraw vote
Ad Slot Below Image (728x90)

প্রতিবেদন, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনের পরেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (second wave)। বহু মানুষ অকালেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। কেউই আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনওভাবে চাইছে না। সে কারণে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (allahabad high court) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) কাছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (assembly election) পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানাল। প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অনুরোধ, দয়া করে দেশের বৃহত্তম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তত এক-দু’মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক।

বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর যাদবের এজলাসে। সেখানেই বিচারপতি যাদব বলেন, করোনার সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এরইমধ্যে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমশই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উত্তরপ্রদেশে জনসভা করতে শুরু করেছে। কিন্তু এই জনসভাগুলি অবিলম্বে বন্ধ না করলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।

বিচারপতি যাদব আরও বলেন, ওই জনসভাগুলিতে কাউকেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকছে না। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সমস্ত নির্বাচনী জনসভাগুলি বাতিল করে দেওয়া হোক। মানুষ প্রাণে বাঁচলো তো সব হবে। দু-এক মাস পর ভোট হলে কিছু এসে যাবে না। প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশের ভোট দু-এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। যেভাবে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে যদি ভোট পিছিয়ে দেওয়া না হয়, যদি এভাবেই জনসভা চলতে থাকে তবে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এই অনুরোধ জানাতে গিয়ে বিচারপতি যাদব পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথাও টেনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দেখেছি পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনে পর কিভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল হাজার হাজার মানুষের। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে করোনার প্রকোপ শীর্ষে পৌঁছতে পারে। ঠিক ওই সময়েই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ, ভোট কিছু দিন পিছিয়ে দিন। মানুষ যদি সুস্থ থাকে তাহলে কয়েক মাস পরে ভোট হতে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু নির্বাচনী ঢেউয়ে গা ভাসালে আগামী দিনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভেসে যাবে রাজ্য।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করার ব্যাপারে আদালত কখনও কমিশনকে সরাসরি কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। সে কারণেই বিচারপতি শেখর যাদব কমিশনকে ভোট কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

[custom_poll]
In-Article Ad (Responsive)
Ad Slot End of Article (728x90)

Related Articles